সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কর্তনের ঘটনায় অভিযুক্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সকলের সিদ্ধান্তে ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। রবির পরিচালনা সিন্ডিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত ফারহানা ইয়াসমিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে রবির রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার থেকে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী অপসারণ বা পদত্যাগের দাবীতে রবি ক্যাম্পাস-১ এ আমরণ অনশন শুরু করেছিলো শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রবিন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১৬তম বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মোঃ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে সভায় সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষেদের ডিন প্রফেসর আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ নওয়ারা জাহান এবং রবির রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী। সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষক কর্তৃক এরূপ লাঞ্ছনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অস্থিরতা নিরসনে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো রবির সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো এবং একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকা- অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধান, প্রবিধি, নীতিমালা এবং সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে রবির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষিকা ইয়াসমিন বাতেন মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।