কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গত ৩০ আগস্ট ভোররাতে গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধদের মধ্যে একে একে পাঁচজনই মারা যান। বেঁচে ছিল শুধুই মো. ইয়াছিন (১২) নামে এক কিশোর। সেও আজ সকালে মারা গেছেন। ফলে এ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে কেউই বেঁচে রইলেন না।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন…হালচাষ থেকে বিশ্বকাপ
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সর্বশেষ মারা গেলো ইয়াছিন। আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে মৃত অন্য পাঁচজন হলেন- মরিয়ম (৮), শাহাদাত হোসেন (২৫), বেগম (৬০), ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬)।
মৃত ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুর রশিদ। তিনি পেশায় রিকশাচালক। ইয়াছিনের আরেক ভাই রয়েছে। আর্থিক অনটনের সংসারে সন্তান দগ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসা খরচ টানতে হিমশিম অবস্থা রশিদের। তবে শতচেষ্টায়ও সন্তানকে বাঁচাতে পারলেন না রিকশাচালক আব্দুর রশিদ।
আরও পড়ুন…শব্দ দূষণের ৭০ শতাংশের উৎসই যানবাহন
এসময় ইয়াছিনের পরিবার ও ইদুনী বেগমের স্বামী মোক্তার হোসেন জানান, এ ঘটনায় তারা চরম আর্থিক অনটনে পড়েছেন। সরকারি বা ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ তাদের সহায়তা করলে তারা কৃতজ্ঞ থাকবেন।
ইবাংলা/টিডি/৮সেপ্টেম্বর২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.