বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেয়া হবে না; তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ। একই সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মচারিদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হবে না; রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন…মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো.আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, বেসরকারি (এমপিও ভুক্ত) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা) কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারিগণের বেতন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারি অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর আলোকে বেতন থেকে অবসরের জন্য ৬ শতাংশ কর্তন করা হতো।
কর্তনকৃত অর্থ থেকে অবসরের পর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারিদের এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। তবে ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এস. আর. ও নম্বর ৮৪ এবং এস.আর.ও নম্বর ৮৯ জারি করে; এর মাধ্যমে ওই কর্তনকৃত ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে; যা ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হয়।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারিদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে বর্ধিত হারে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বর্ধিত কর্তনের জন্য কোনো প্রাপ্য অতিরিক্ত সুবিধা অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারিদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন…ফের বাড়লো আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম
তিনি আরও বলেন, কর্তনকৃত ১০ শতাংশ অবসরের পর অনেক সময় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারিগণ তাদের জমাকৃত অবসর সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এবিষয় বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারিগণ হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করে।
ইবাংলা/জেএন/১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.