জবিতে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন’ শেষ হলেও ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লার স্তুপ

জবি প্রতিনিধি

ছোট্ট ক্যাম্পাস বিশিষ্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আদর্শ ক্যাম্পাস গঠনের লক্ষ্যে ৭, ৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছামূলক অংশগ্রহণে ৩ দিনব‍্যাপী ক‍্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কিন্ত ক্যাম্পাসের নানা স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপকে পাত্তা না দিয়ে শেষ হলো ‘ক্লিন ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন’।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আজ উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ, প্রক্টর মোস্তফা কামালসহ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড লুতফর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অভিভাবকবৃন্দ।

আরোও পড়ুন…একুশ শতকে রাজতন্ত্রের প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু?

উপাচার্য অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমন কার্যক্রমকে নিয়মিত পরিচালনা করা ও পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্যও তিনি আহ্বান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলে দ্রুত সমাধানে কাজ করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই। লিফট সমস্যা, পরিচ্ছন্নতার সমস্যা সব খুব দ্রুতই সমাধান করা হবে। এর মধ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সকলকে শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

কিন্তু সরেজমিনে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ময়লার বিশাল স্তুপ পড়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনের চারপাশে ময়লায় সয়লাব হয়ে আছে। ‘ক্লিন ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন’ নামকরণ হলেও ক্যাম্পাস ক্লিন করার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। আগের মতই ময়লার স্তুপ পড়ে থাকায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ‘ক্যাম্পাস ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ আসলে কতটুকু স্বার্থক এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষার্থীদের মনে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদ রনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস ক্লিনিং ক্যাম্পেইন’ থেকে আশা করেছিলাম ভালো কিছু হবে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কিছু স্থান ছাড়া বাকি সব একই আছে। এখন ঘরে ঘরে ডেংগু হচ্ছে। শুধুমাত্র নাম কামানোর জন্য এসব কাজ করা সত্যিই লজ্জাজনক। কাজ করলে মন থেকে করা উচিত।

আয়নাল হক বলেন যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইন শেষ হয়েছে, আমাদের চাওয়া ছিলো, আমরা যেনো বিশ্ববিদ্যালয়কে আগের চেয়ে পরিচ্ছন্ন দেখতে পারি। তবে শেষ হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে, আগের চেয়ে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় মনে হলো না। আমরা নিজেরাই যদি একটু সচেতন হই, তাহলেই উপহার দিতে পারবো একটা পরিচ্ছন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ‍্যাপক আব্দুল কাদের বলেন, ক্লিনিং ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইনে আমরা সাধারণত বিল্ডিং এর ভেতরে আর ক্যাম্পাসের পেছনের দিকে যেখানে সাধারণত ক্লিনাররা পরিষ্কার করে না সেখানে কার্যক্রম করেছি। আর শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা থাকে তাই সব জায়গায় পরিষ্কার করা সম্ভব হয়না। যদি এটা পরবর্তীতে প্রাতিষ্ঠানিক প্লাটফর্ম পায় তবে আরো বড় পরিসরে করা যেতে পারে।

ইবাংলা/আরএস/১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us