রাজধানীতে ডিজিটাল টিকিট কাউন্টারের নামে চলছে অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার নৈরাজ্য। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গণপরিবহনে থাকবেনা কোনো ওয়েবিল। এতদিন যাবৎ সেইটাই ছিল।
সরকার থেকে রাজধানীতে প্রতি কিলোমিটার বাসভাড়া নির্ধারিত করা হইছে ২.৪৩টাকা। কিন্তু কোথাও এই নির্ধারিত ভাড়া মানা হচ্ছে না। উল্টো কাউন্টারে টিকিট ক্রয়ের নামে চলছে বেশি ভাড়া আদায়ের নতুন কৌশল।
আদতে কোনো টিকিট কাউন্টার নেই। খিলক্ষেত থেকে মিরপুর ১১ নাম্বার পর্যন্ত দূরত্ব ৮.২ কিলোমিটার। সেই হিসেবে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১৯.৯ বা ২০টাকা। সেখানে খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড হতে মিরপুর ১১ নাম্বার যাওয়ার জন্য প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে যাত্রী সার্ভিসেস লিমিটেডর একটি টিকিট ক্রয়ের মেশিনের মাধ্যমে সেই ভাড়া দেখিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০টাকা।
আরোও পড়ুন…‘ভালো কাজের হোটেল’
শুধু এই রুটেই নয়, রাজধানীর প্রতিটি রুটেই এইভাবেই যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এতে করে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
প্রজাপতি পরিবহনের ভাসমান কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা লোকের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে বিষয়টি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে বলেন, আমি সামান্য চাকরি করি ভাই। আমার পেছনে লাগছেন কেন? মালিক যেভাবে বলে আমরা সেভাবে কাজ করি। পরে মালিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া জায়নি।
স্বাধীন রাকিবুল নামক এক ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্য মতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরকম ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
ইবাংলা/আরএস/২৫সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.