চীনা প্রতিনিধিদল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক ও ধারাবাহিক বহুপক্ষীয় সম্মেলনে অংশ নেয়। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েক ডজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিশ্বের জটিল পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এবারের সম্মেলন আয়োজিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী এখনও ছড়িয়ে পড়ছে, বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি তীব্রতর হচ্ছে, ইউক্রেন সংঘর্ষের ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানিসম্পদ ও খাদ্যশস্যের সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। আরও বিপজ্জনক বিষয় হচ্ছে, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ও গোষ্ঠী রাজনীতির আভাস আবার দেখা যাচ্ছে এবং একতরফাবাদ ওসংরক্ষণবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে কিশোর গ্যাং সদস্যসহ গ্রেফতার ৭
এ পটভূমিতে চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জাতিসংঘে তাঁর ভাষণে বিশ্বের সামনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ‘বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাব’ ও ‘বিশ্ব উন্নয়ন প্রস্তাব’তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শান্তি চাই, তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাই না; ঐক্য চাই, বিচ্ছিন্নতা চাই না; ন্যায্যতা চাই, উৎপীড়ন চাই না। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চীনের নীতি ও অবস্থান এবং বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অভিন্ন মতামত তুলে ধরেছেন।
৭৭তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট করোসি কাসাবা বলেছেন, চীন সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব বর্তমানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পথ বাতলে দিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরহিস বলেন, চীন স্থায়ীভাবে বহুপক্ষবাদ সমর্থন করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ‘বিশ্ব উন্নয়ন প্রস্তাব’ সমর্থন করার কথাও ঘোষণা করেন গুতেরহিস। তিনি আশা করেন, এ প্রস্তাব জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বাস্তবায়নে সহায়ক প্রমাণিত হবে। সূত্র: সিএমজি
ইবাংলা/জেএন/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.