স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন করোনা টিকার প্রথম ডোজ আগামী ৩ অক্টোবরের পর পাওয়া যাবে না ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এই বিশেষ কর্মসূচি তাদের জন্যই, যারা এখনও টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেননি। এরপর থেকে আর টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন…পতাকার সঙ্গে লাঠি লাগিয়ে রাস্তায় নামলে খবর আছে
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, চতুর্থ ডোজ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো নির্দেশনা দেয়নি। যেসব দেশে চতুর্থ টিকা দেওয়া হচ্ছে তারা নিজেদের দেশের প্রটোকল মেনে এটা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি নির্দেশ দেওয়া তাহলে তখন সেটা করা হবে।
খুরশিদ আলম বলেন, আমরা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করতে চাচ্ছি। কারণ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো এবং কিছু মানুষ এখনও টিকা নেননি। তবে দেশে ইতোমধ্যেই টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছে।টিকার পরিমাণের স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।
তবে কোন কোম্পানির টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব টিকা একসঙ্গে আসেনি। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন টিকা এসেছে। তাই সব টিকার মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে-বিষয়টি এমনও নয়। আর বর্তমানে ৩ কোটি টিকা হাতে রয়েছে। এ সময় অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচি কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, টিকা এখনও আমাদের পাইপলাইনে রয়েছে, কিন্তু হাতে থাকা টিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আনা যাবে না।
আরও পড়ুন…ইবিতে অভিযোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
তিনি জানান, ৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের চলমান টিকা আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে করা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে ৭৮ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছিল বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামসহ অন্যরা।
ইবাংলা/জেএন/২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.