চ্যালেঞ্জ নিয়ে চার বছরের কর্মপরিকল্পনা সাজাচ্ছেন পাপন

ডেস্ক রিপোর্ট

টানা চতুর্থবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। ২৫ পরিচালকের সম্মতিক্রমে আগামী চার বছরের জন্য বিসিবির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণকালে পরিচালকদের সামনে তিন চ্যালেঞ্জ রেখেছেন তিনি। যা এই চার বছরে তার মূল কর্মপরিকল্পনা হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আইসিসি ইভেন্টের জন্য অবকাঠামো নিশ্চিত করা।

আজ বৃহস্পতিবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। সেখানে ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে পাপন বলেন, ‘আজ শর্ট ব্রিফিংয়ে বলেছি, অনেক কাজ বাকি। এতদিন অনেক কাজ করেছি এটা মনে করা ভুল হবে। কারণ এখন আরো কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম।’

২০২৬ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন হতে আইসিসির নিলামে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। এরজন্য মোটামুটি যে কয়টা স্টেডিয়াম দরকার তার তালিকায় শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নামও আছে। যদিও এখনো তার কাজ শুরুই হয়েছে মাত্র। কিন্তু যেহেতু হাতে পাঁচ বছরের মতো সময় আছে। সেহেতু এই মেয়াদেই তা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। পাপন বলেন, ‘এটা আমাদের যতদ্রুত সম্ভব চালু করতে হবে। কারণ আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এ স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাবো না। তো এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’

এই মেয়াদে বিসিবির সংবিধানে নানা দিকে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘পরিচালকদের বলেছি সংবিধানে কোথায় কি পরিবর্তন আনা যায় তা বলতে বলেছি। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে। আমার প্রস্তাব হলো– আমাদের এখানে এতগুলা ক্লাব অংশগ্রহণ করে অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নাই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোন সম্পর্কই নাই। এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এরকম আরো আছে।’

ক্রিকেটার তৈরির জন্য আঞ্চলিক ক্রিকেটে গুরুত্ব দিতে বেশ কয়েকটি বিভাগে একাডেমি তৈরিকে তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন তিনি। সিলেটে একাডেমি তৈরি শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামেও শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখানেই শেষ নয় এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা তৈরি। এটার সঙ্গেই কাঠামোগত উন্নয়নের কথা এসেছে। ক্রিকেট একাডেমি ইতোমধ্যে এক জায়গায় হয়েছে আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়স ভিত্তিকের জন্য ডেডিকেটেড একাডেমি হবে।’

‘এখানে আমি প্রস্তাব রেখেছি যে, উন্নত একাডেমি তো কয়েকটা হবে কিন্তু তিনটা থাকবে ডেডিকেটেড। যেমন ব্যাটিংয়ের জন্য একটা থাকবে, পেসারদের জন্য একটা আর স্পিনারদের জন্য একটা। এটা জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য না, ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে। এখানে দেশি হোক বা বিদেশি হোক ডেডিকেটেড কোচ থাকবে। এ ছাড়া আমাদের খেলার মাঠ দরকার ৮-১০টা, যেখানে সারা বছর খেলা চালাতে পারি। সামনে আরো বেশি খেলাতে চাই। আর এই মাঠগুলো আমরা (বিসিবি) পরিচালনা করবে,’ যোগ করেন তিনি।

Contact Us