‘সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করে, ফখরুলরা করেন না’ : তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

ঢাকার ডাক ডেস্ক : সারাবিশ্ব বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলরা করেন না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

Islami Bank

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে গত নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। সে নির্বাচন কমিশনে বিএনপির ঘোর সমর্থন একজন নিয়োগ পেয়েছেন। সার্চ কমিটি যে সঠিকভাবে কাজ করে সেটা এ নির্বাচন কমিশন দেখলেই বোঝা যায়। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে দেখান আওয়ামী শাসন থেকে মুক্তি পেতে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব প্রতিদিনই কথা বলেন। প্রতিদিন তিনি একই ধরনের কথা বলেন। কথার মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই।

one pherma

আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের মানুষের যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে সেটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব শিক্ষিত মানুষ হিসেবে না জানার কথা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৬০০ ডলারের মাথাপিছু আয় প্রায় ৪ গুণ বেড়ে ২২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এখন বাংলাদেশে খালি পায়ে, ছেড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না। কুঁড়ে ঘর সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। গ্রামের মেঠোপথ এখন অনেকটা হারিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আগে আমরা স্লোগান দিতাম শ্রমিকের মজুরি হবে সাড়ে ৩ কেজি চালের দামের সমান। এখন শ্রমিকের মজুরি কমপক্ষে ১২ কেজি চালের দামের সমান। ৫০০ টাকা একজন শ্রমিকের মজুরি হলে প্রতিদিন সে ১২ কেজি চাল কিনতে পারে। কোনো কোনো স্থানে ৮০০ টাকাতেও শ্রমিক পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গে ৫০০ টাকায় মজুরি পাওয়া যেতে পারে। চট্টগ্রামসহ বড় বড় শহরে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যায় না। তাহলে ১৫ কেজির চাল কিনতে পারে। আমি কম করে ধরেছি। এই যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ; যার প্রশংসা সারাপৃথিবী করে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা প্রশংসা করতে পারে না। এটি হচ্ছে দুর্ভাগ্যজনক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যথার্থ বলেছেন, কোন দুঃখে মানুষ বিএনপিকে ভোট দেবে। আবার কি পেট্রোল বোমা মারার জন্য, ৫০০ জায়গায় এক সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণের জন্য, আদালতে বোমা বিস্ফোরণের জন্য, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার জন্য, কিবরিয়া, আহসানুল হক মাস্টারের মতো লোকের মৃত্যু হওয়ার জন্য। বাংলা ভাই, শেখ আব্দুর রহমানের উৎপত্তি হওয়ার জন্য। এজন্য মানুষ তাদের ভোট দেবে? এগুলো আসলে খালি কলসি যেমন বেশি বাজে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবও প্রতিদিন বেশি বাজে। কারণ তারা সমর্থনহীন এজন্য তারা বেশি বাজে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশে কোনোদিন হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। রুটিন কাজ করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না। সব উন্নত দেশে তাই হয়। আমাদের দেশেও তাই হবে।

Contact Us