১লা অক্টোবর চীনের জাতীয় দিবস। চলতি বছরের জাতীয় দিবস বেশ অনন্য। কারণ, জাতীয় দিবসের পর চীনের ক্ষমতাসীন পার্টি-‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টির’ বিংশতম জাতীয় কংগ্রেস উদ্বোধন করা হবে।
চীনারা এই সম্মেলনের আকাঙ্ক্ষা করে। কারণ, এই সম্মেলনে চীনাদের দ্বিতীয় শত বছরের সংগ্রামের লক্ষ্য বাস্তবায়নের কৌশলগত বিন্যাস নেয়া হবে। চীনের প্রথম শত বছরের সংগ্রামের লক্ষ্য হল সিপিসি প্রতিষ্ঠার একশ’বছর পূর্তিতে সার্বিক স্বচ্ছল সমাজ গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন…ইলিশ সম্পদ বাড়াতে নৌ র্যালি
যা গত বছর পূরণ হয়েছে। ‘দ্বিতীয় শত বছরের’ সংগ্রামের লক্ষ্য হলো নয়া চীন প্রতিষ্ঠার শত বছর পূর্তিতে, শক্তিশালী চীন, গণতন্ত্র, সুষম ও সুন্দর সমাজতান্ত্রিক আধুনিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তাই এই লক্ষ্য পূরণের জন্য দেশ নানা উদ্যোগ হাতে নেবে। এই সম্মেলন থেকেই তা জানা যাবে।
চীন একটি আধুনিক দেশ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কল্যাণ করবে। এজন্য-
প্রথমত, বিশ্বের দারিদ্র্যবিমোচনে সহায়ক হবে। দ্বিতীয়ত, বিশ্বের খাদ্য সংকট প্রশমনে চীন অবদান রাখতে পারবে। চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল- ‘যৌথভাবে ধনী হওয়া’। চীনাদের মতে, প্রত্যেক মানুষই সমান।
সবার ভালো জীবন বাস্তবায়নই হলো সত্যিকারের ভালো জীবন। তাই চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন মানে চীন আরো উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণ করবে, বিশ্বের সঙ্গে আরো বেশি বাজারের সুযোগ শেয়ার করবে, বিশ্বের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আরো শক্তি যোগাবে।
চীনের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া হচ্ছে সবার জন্য কল্যাণ সৃষ্টি করা। জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য চীন আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু রাষ্ট্রীয় পার্ক স্থাপন করেছে। প্রকৃতি রক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য চীন নির্গমন কমানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে অনেক চেষ্টা করেছে। এসব থেকে বোঝা যায়, আধুনিক চীন নির্মাণ পৃথিবীর পরিবেশ এবং সম্পদ ধ্বংস করার মাধ্যম নয়, বরং মানুষ ও প্রকৃতির সুষম সহাবস্থানের আধুনিকায়ন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন…জলাতংক রোগ নির্মূলে কুকুরকে ভ্যাকসিন প্রদান
পাশাপাশি, হাই-টেক ও মানবসম্পদ বিনিময়সহ বিভিন্ন খাতে কল্যাণ করবে। আশা করা যায়, ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় সিপিসি’র বিংশতম জাতীয় কংগ্রেস থেকে সবাই চীনের সদিচ্ছা দেখতে পারবে। সূত্র : সিএমজি
ইবাংলা/জেএন/০৭ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.