করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন রেকর্ড। করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যেই এখন মারাত্মক রূপ নিতে শুরু করেছে ডেঙ্গু জ্বর।
দেশে আবারও করোনা ও ডেঙ্গুর ঊর্ধ্বমুখী প্রাদুর্ভাব। করোনা ও ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের শরীরে প্রায় একই রকম উপসর্গ দেখা যায়। এতে করে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসকরাও সঠিক রোগটি শনাক্ত করে চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়েন। আবার চিকিৎসকরা মনে করেন, একই সঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
চিকিৎসায় করণীয়
চিকিৎসকেরা বলছেন, ইদানীং তারা এমন অনেক রোগী পাচ্ছেন যারা একই সাথে কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।করোনা হলে এক ধরনের চিকিৎসা। আর ডেঙ্গুর সঙ্গে করোনা হলে আরেক ধরনের চিকিৎসা নিতে হবে। দুটি রোগ একসঙ্গে হলে কনজারভেটিভ দিতে হবে।
আরও পড়ুন….বিশ্বে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত
ডেঙ্গুতে আপনার ওয়ার্নিং সাইনসহ অথবা স্পেয়ার ডেঙ্গু হয়, তাহলে প্লাটিলেট অবশ্যই ১ লাখের নিচে চলে আসবে। এমনও হতে পারে ৫০ হাজার, ১০ হাজার, ৫ হাজারেও আসতে পারে। অনেক রোগীর ২ বা ১ হাজারেও চলে আসতে পারে। তখন তাকে প্লাটিলেট দিতে হয়।
আর শুধু করোনা হলে আপনাকে অন্য চিন্তা করতে হবে। ব্যথা প্যাথাফিলজি হবে। যে সমস্ত রোগীদের উপসর্গ নাই, তাদের তিন-চার দিন পরে সিমটম হয়ে যাবে কি না, এটা কেউ বলতে পারবে না। রোগীর সিমটম শুরু হয় যেমন, সর্দি হচ্ছে, গলা ব্যথা করছে, হালকা কাশি, গায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা ও জ্বর হচ্ছে।
অনেক সময় রোগীর অক্সিজেন সেচুরেশন খুবই ভালো ৯৫, ৯৬, ৯৯ থাকে এবং রোগীদের মডারেট নিউমোনিয়ার মতো হয়ে যাবে কি না, ৯০ এর নিচে অক্সিজেন সেচুরেশন চলে আসবে কি না, এ পরিস্থিতি জানা কঠিন।
যাদের নিউমোনিয়া হয়ে যাচ্ছে, সেসব বিষয়গুলোতে দেখতে হবে সিআরপি, ডি-ডিমার, এলডিএইচ— এ তিনটার মধ্যে কোনটা বেশি এবং সেটি ৭৫-এর বেশি সিআরপি কি না, ডি-ডিমার থ্রি পোল্ডের বেশি কি না, এলডিএস থ্রি পোল্ডের বেশি কি না দেখতে হবে।
এমন হলে আপনাকে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ করোনা হয়তো সিভিআরের দিকে চলে যাচ্ছে অথবা রোগীর সিমটম রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
ইবাংলা/জেএন/০৮ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.