বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেদিনকার ছাত্র-জনতা স্বৈরশাসকের তখতে-তাউস উল্টে দিয়েছিলো। সেদিন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এখন আবার সেই সময় এসেছে। সেই সময় উপস্থিত হয়েছে। দৃঢ়তার সঙ্গে আবার সেই ধরনের আরও একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। তাই আর সময় ক্ষেপণ নয়, আর কাল বিলম্ব নয়। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আজকে সময় এসেছে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলি, ছাত্রদের ঐক্য গড়ে তুলি, বহুদলীয় ঐক্য গড়ে তুলি।’
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতাদের ও জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ‘শহীদ জেহাদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে স্কাইপেতে যুক্ত হয়ে নেতাকর্মীর উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্র সমাজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রতিবার যুগে যুগে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে তরুণেরা, এই যুবকেরা, এই ছাত্ররা। আজকে রুখে দাঁড়াতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে তোমাদেরই। আজকে তোমাদের দিকে ভবিষ্যৎ তাকিয়ে আছে। যেমন গোটা জাতি আজকে তাকিয়ে আছে আমাদের নেতা তারেক রহমানের দিকে। ঠিক তেমনিভাবে আমরা সবাই তাকিয়ে আছি তোমাদের দিকে। তোমাদের জেগে উঠতে হবে, পরাজিত করতে হবে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিদায় করে একটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দমতো সরকার ও পার্লামেন্ট তৈরি করবে। মানুষ যাকে চায় ভোট দেবে এবং আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকেই দেবো।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাকে যদি বাঁচতে হয়, আমাকে যদি বাঁচতে হয়, আমার দেশকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের অর্জন, নব্বইয়ের অর্জনকে যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে অবিলম্বে এই সরকারকে চলে যেতে হবে। পরিষ্কার করে বলতে হবে- সরে যাও, ঘুরে দাড়াও।’
নব্বইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জহির উদ্দিন স্বপনসহ সাবেক ছাত্র নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মামুন হাসান, হেলেন জেরিন খান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।