নোয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরে দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত সোহেল সুলতান (৩২) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজির লেন্স নায়েক হিসেবে পিলখানায় কর্মরত রয়েছেন। সোমবার রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে আসমির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন…জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মীর ইকবাল ও সদস্য পদে বাচ্চু এবং রিনা নির্বাচিত
আদালতের ষ্টেনোগ্রাফার নজরুল ইসলাম রায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিনজন আসামিকে বেকুসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন সোহেল সুলতানের মা মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন, বোন শিউলী আক্তার ও ফুফু হাসনা বেগম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর শূল্লাকিয়া গ্রামের সফিক উল্যাহর ছেলে বিজিবির সদস্য সোহেল সুলতান ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল একই উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আবদুল সাত্তারের মেয়ে শিরিন আক্তার মুন্নিকে বিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা।
বিয়ের কিছুদিন না যেতেই সোহেল তার স্ত্রীকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে বিগত ২০১৬ সালের ৭ জুলাই বেধম মারধর করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
এরপর নির্যাতনে শিকার শিরিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী সোহেল সুলতানসহ চারজনকে আসমি করে একটি পিটিশন মামলা (নম্বর-১০২৮/২০১৬) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তৎকালীন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলাল হোসেন পিটিশন মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরও পড়ুন…যে আমল মানুষের অন্তর নরম করে
এরপর দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আসামি বিজিবি সদস্য সোহেল সুলতানকেকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর তিন আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়।
ইবাংলা/জেএন/১৭ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.