সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর ভালোবেসে বিয়ে করেন রাসু মোল্লা ও রেহেনা খানম। ভালোই চলছিল এই দম্পতির সংসার। সাড়ে চার বছরের সাংসারিক জীবন এক নিমিষেই ধংস হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে এক কালো অধ্যায়।
সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে নড়াইল সদরের পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন সাংবাদিকদের কার্যালয়ে সোমবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী রাসু মোল্লা।
আরও পড়ুন…বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা
বর্তমানে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার শ্রী গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ রাসু মোল্লা। সে বর্তমানে গাজীপুর মহানগর বাসন থানার পালেরপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার স্ত্রী রেহানা খানম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কোটালি গ্রামের মফিজ শিকদারের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় হওয়ার সুবাদে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গত ২৩ মার্চ ২০১৮ ইং সালে দুই লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। মানছুর আমার স্ত্রীর দূর সম্পর্কের দুলাভাই। আমার মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় হলে তিনি আমার কাছ থেকে একাধিকবার কয়েকধাপে বিপদ সমস্যার কথা বলে সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাওলাত ধার নেয়। আমার গরুর ফার্ম থেকে গরু বিক্রি করে উক্ত টাকা দেয়।
আমার অগোছরে আমার স্ত্রী তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আমি জানতে পারলে আমার টাকা ফেরত চাই এবং তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলি। একারণে আমাকে পানির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমার হাত পা বেধে অচেতন করে ঘরে তালা মেরে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার সহ ব্যাংকের চেক বই ইত্যাদি নিয়ে মানছুরের সাথে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমাকে আমার বাড়ির পাশের ঘরে থাকা লোকজন ঘরের তালা কেটে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে।
আরও পড়ুন…ডিএসইর ১৮ কর্মকর্তার নাম বাতিল
আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি, আমি অসুস্থ, রক্তশূন্যতায় ভুগছি, সম্প্রতি রক্ত গ্রহন করেছি। আমার সাথে অবিচার করা হচ্ছে। আমি আমার পাওনা টাকা ফেরত এবং মানছুর ও রেহানা খানমের বিচার দাবি করছি। এছাড়াও আমার নামে একাধিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচারের দাবি জানাই।
ইবাংলা/জেএন/৭ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.