রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেরিবাঁধ সংলগ্ন ঢাকা উদ্যান বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনাও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত হাউজিং এ বহু বছর পর চলতি মাসের ১৫ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুটি প্যানেল হয়েছে। একটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন বেপারী ও ফজলুল হক বাদল। অন্য প্যানেলে রয়েছে মোহাম্মদ আলী আহমদ ও সেলিম।
জানা যায় হাউজিং এ দীর্ঘদিন যাবত চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই ,বাড়ি দখল, জমি দখল ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বসবাসকারী নাগরিকগণ নানা আশঙ্কায় জীবন যাপন করছেন।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
এসব বিষয়ে উদ্যানটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম দিন মোহাম্মদ ও সেক্রেটারি মরহুম জহুরুল হককের ছোট ভাই ফজলুল করিম বাদল বলেন, আমার বাবা ও ভাই এই হাউজিং করেছে এখানে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল কলেজ, বাজার করেছে। আমি তাদেরই উত্তরসূরী হিসেবে এই হাউজিংয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করার জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।
সভাপতি পদে সাবেক কমিশনার মরহুম সাঈদ ব্যাপারীর ছেলে শাহিন বেপারী বলেন এই হাউজিং এর অর্ধেক জায়গা ছিল আমাদের। আমরা বিক্রি করেছি বলেই আজকের এই হাউজিং হয়েছে। সুতরাং এই হাউজিংয়ের ভূমিদস্যু চাঁদাবাজদের কোন জায়গা হবে না। এ সময় হাউজিংয়ের অন্যান্য বাড়িওয়ালারা জানান এই হাউজিং নিয়ন্ত্রণ করে সন্ত্রাসী মনির।
সে অনেকের বাড়ি দখল করেছে, ঢাকা উদ্যানের নাজিমের বাড়ি দখল করে ৪০ লাখ টাকার বিনিময়ে ফেরত দিয়েছে। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, মনিরের সমর্থনেই আলী আহমেদ ও সেলিম প্যানেল । জানা গেছে, আলী আহমেদ ও সেলিম প্যানেলে সন্ত্রাসী মনিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড ভূমি ভূমিদস্যু মিজানুর নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে।
এসব বিষয়ে মিজানুরকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন অতীতে যা হয়েছে ভবিষ্যতে আর এসব হবে না। অন্যদিকে তার প্যানেলের সেক্রেটারি পদে সেলিম বলেন ভালো লোক পাইনি বলেই মিজানুরকে নেওয়া হয়েছে। ভোটাররা যে কয়জনকে নির্বাচিত করবে তাদেরকে নিয়েই আমরা কাজ করব।
অবশ্য এই প্যানেলের সভাপতি আলী আহমদ ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী মিজানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন এই মিজান সেই মিজান নয়।
আরও পড়ুন…জামায়াতপুত্র হাশেম রেজা আ. লীগের উপকমিটির নেতা : জালজালিয়াতি হামলা-মামলাই যার নেশা
তবে আলী আহমদ ও সেলিম প্যানেলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান থাকায় উদ্যানবাসীর আশঙ্কা রয়েই গেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ঢাকা উদ্যান কী চাঁদাবাজদের দখলে যাবে? সুতরাং তারা ভোটের মাঠে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
হাউজিংয়ের অনেকেই বলেন যেখানে চাঁদাবাজরা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে সেখানে যেন কোন সচেতন বাড়িওয়ালা ভোট না দেয়। তবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , এখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকবেন। সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে। ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিবেন।
এসব বিষয়ে আলী আহমেদ ও সেলিম প্যানেল সভাপতি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ফুলপ্যানেল জয়লাভ না করলেও যে কয়জন জয়লাভ করবে তাদের সাথে নিয়ে মিলেমিশে ঢাকা উদ্যানের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবো। আলী আহমেদ বলেন, অতীতে যা হয়েছে আমরা নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজি ও হাউজিং এর পরিবেশ সুন্দর শান্তি প্রিয় রাখার চেষ্টা করব।
ইবাংলা/জেএন
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.