মাদারীপুরের রাস্তি ইউনিয়নের পশ্চিম রাস্তি এলাকায় জামাল বেপারী নামের এক ব্যাক্তিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট গুরুতর জখম এবং তার সাথে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় শক্রতার জের ধরেই হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেছেন বলে দাবি জামাল বেপারীর।
গুরুতর জামাল বেপারীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়া গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা সংকটপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় তিনি মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন…জামিন নামঞ্জুর ফখরুল-আব্বাসসহ ২২৪ নেতাকর্মীর
মামলার এজহার সূএে জানা যায়, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে জামাল বেপারী ব্যাবসায়িক কাজ শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে পূর্ব রাস্তি ব্রিজের কাছে আসা মাএই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অপেহ্মমান দেলোয়ার মাতুব্বর,কাসেম মাতুব্বরসহ ১২ জন এবং অঙ্গাতনামা আরো ৮/১০ জন মিলে এলোপাথারি ভাবে রামদা, ছেনদা, চাইনিচ কুরাল, লোহার রড, চাপাতি, ইত্যাদি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে গুরুতর জখম করে তার সাথে থাকা ব্যাবসার নগদ এক লহ্ম পঞ্চাশ হাজার টাক্ াএবং একটি আইফোন টাচ মোবাইল যাহার মূল্য ষাট হাজার টাকা ও একটি বাটন মোবাইল সেট যাহার মূল্য তিন হাজার পাঁচশত টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে তার চিৎকারে স্থানীয় পথচারিরা মূমূর্ষ অবস্থায় ঘটনাস্থল হইতে উদ্ধার করিয়া মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অতপর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা সংকটপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় তিনি মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জামাল বেপারীর এÍী হেলেনা বেগম বলেন,স্থানীয় শএুতার জের ধরে আমার স্বামীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি ভাবে হামলা করেছে। তাদের অত্যাচারে দীর্ঘ দিন যাবত এলাকার লোকজন তাহাদের দারা জিম্মি। মাদক ব্যাবসাসহ বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে তারা জরিত। আমি তাদের বিচার চাই।
উল্লেখ্য যে,অভিযুক্ত দেলোয়ার মাতুব্বর এবং দেলোয়ার গ্যাংদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও মুনজিলা বেগম, রনি হাওলাদার, মো: রহমান, সোনিয়া বেগমসহ একাদিক ব্যাক্তি থানায় আভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি ।
আরও পড়ুন…স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়ায় প্রধান শিক্ষিকার আত্মহত্যা
তাদের ভাস্যমতে, দেলোয়ার গ্যাংগ এখন রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি অপরাধ প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/১২ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.