২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারি চায়না মিডিয়া গ্রুপ- সিএমজি’র মহাপরিচালক শেন হাই সিয়োং সিজিটিএন, সিআরআই, ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে বিদেশি শ্রোতা ও দর্শকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রিয় বন্ধুরা:
শীতকালের উষ্ণ সূর্যালোকে আমরা প্রত্যাশা ভরপুর ২০২৩ সাল স্বাগত জানাই। আমি বেইজিং থেকে আপনাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গেল ২০২২ সালে সফলভাবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) বিংশ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে, সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ ও চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের দায়িত্ব ও পথ সুনির্দিষ্ট হয়েছে। নতুন যুগে সিএমজি ভালোভাবে বিশ্বের কাছে এবারের সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা উপস্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে প্রাণবন্তভাবে নতুন যুগে চীনের অসাধারণ গল্প তুলে ধরা হয়; যা দেশি বিদেশি শ্রোতা ও দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা পেয়েছে।
আরও পড়ুন…স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন : কাদের
গেল বছরে আমরা ‘চিন্তা+শিল্প+প্রযুক্তির’ একীকরণ ও উদ্ভাবন অন্বেষণ করেছি। আমরা উচ্চ মানের ভিডিও তৈরির চেষ্টা করেছি। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমস সম্প্রচারের সময় সিএমজি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে ‘চীনা-শৈলীর’ অলিম্পিক চেতনা ও চীনা সংস্কৃতি একীভূত করেছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তির আলোয় শীতকালীন অলিম্পিকের বরফ ও তুষার আলোকিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিশনের চেয়ারম্যান থমাস বাখ সিএমজি’র ইভেন্ট রিপোর্টিং ও প্রচারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সিএমজি’র তৈরি ‘ধ্রুপদী চীন’ এবং ‘কবিতা ও পেইন্টিংয়ে চীন’সহ ধারাবাহিক বিশেষ ভিডিওগুলোতে চীনা সভ্যতার উত্তরাধিকারের শৈল্পিক ব্যাখ্যা ও মানবসভ্যতার অভিন্ন দর্শনের অনুসন্ধান ফুটে ওঠে।
বসন্ত উৎসব, মধ্য শরৎ উৎসব ও নববর্ষের অনুষ্ঠান বিদেশে চীনা সংস্কৃতির একটি নতুন উত্থান সৃষ্টি করেছে। ‘চীনের চলচ্চিত্র উৎসব’, ‘চীন-ল্যাটিন আমেরিকা মৈত্রী’ ও ‘চীন-আফ্রিকা মৈত্রী’ নামের ধারাবাহিক সম্প্রচার কার্যক্রমগুলোর মাধ্যমে সভ্যতার বিনিময় ও গণ-যোগাযোগের সেতু গড়ে উঠেছে।
গেল বছর আমরা প্রথম বিশ্ব গণমাধ্যম উদ্ভাবন ফোরাম, চীন-আর্জেন্টিনা উচ্চ পর্যায়ের সাংস্কৃতিক ফোরাম ও চীন-আরব গণমাধ্যম সহযোগিতা ফোরামসহ বিভিন্ন বহুমুখী গণমাধ্যমের ফোরাম আয়োজন করেছি। আমরা অব্যাহতভাবে আঞ্চলিক সহযোগিতার ব্যবস্থা গভীরতর করেছি।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের মৈত্রী জোরদার হয়েছে। সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের পর আমরা বিদেশে ৫৮বার ‘নতুন যাত্রায় চীন ও বিশ্ব’ শীর্ষক ধারাবাহিক গণমাধ্যম কার্যকলাপ আয়োজন করেছি।
এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের সঙ্গে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিক যুগ মূল্যায়ন ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যা দুই হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং তা সম্প্রচারিত হয়েছে।
চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বহুবার জোর দিয়ে বলেছেন, চীন দৃঢ়ভাবে ইতিহাসের সঠিক দিকে ও মানবসভ্যতার অগ্রগতির পথে রয়েছে। চীন মানবজাতির শান্তি ও উন্নয়নের জন্য চীনা বুদ্ধি ও চীনা পরিকল্পনার যোগান দেয়।
যোগাযোগের শক্তি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, আর সত্যতাই সব গণমাধ্যমের প্রাণ। গেল বছর আমরা বিশ্বব্যাপী উত্তপ্ত খবরের রিপোর্টিং দক্ষতা উন্নত করার চেষ্টা করেছি। আমাদের সম্প্রচারিত ভাষার সংখ্যা ৪৪ থেকে ৬৮তে বেড়েছে; যাবিশ্বের ২৩৩টি দেশ ও অঞ্চলে সম্প্রচারিত হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ ও বৈশ্বিক মহামারী ইত্যাদির প্রতিবেদনে আমরা মিথ্যাচার পরিত্যাগ করেছি, সত্যের প্রতি অটল থেকেছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে চীনের অবস্থান এবং চীনের পরিকল্পনা উদ্দেশ্যমূলক ও ন্যায্যভাবে প্রচার করেছি।
নতুন বছর আমরা অব্যাহতভাবে কঠোর পরিশ্রম করবো ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাবো এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন যুগে চীনের নতুন পরিবেশ তুলে ধরব। নতুন বছর হলো ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপনের দশম বার্ষিকী।
আরও পড়ুন…শীতকালে বাড়ে নিউমোনিয়ার প্রকোপ
আমরা গণমাধ্যম দিয়ে বন্ধু তৈরি করবো, বিভিন্ন সভ্যতার যোগাযোগ, অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করব এবং মানবজাতির অভিন্ন মূল্যবোধ প্রচার ও মানবজাতির অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গঠনের দায়িত্ব পালন করবো।
‘শেষ দিনগুলো সুন্দর, বসন্ত বাতাসে ফুল ও গাছপালা সুগন্ধযুক্ত হয়।’ বসন্তের পদধ্বনি দিয়ে আমি আপনাদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই এবং শান্তি ও সুখ কামনা করি! ধন্যবাদ!
ইবাংলা/জেএন/২ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.