বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি ১৫/২০ বছর বয়সেই পাকা ধরে তাহলে মনের অবস্থা কেমন হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আড় চোখে তাকালেই দেখা যায় আশেপাশের মানুষের মুচকি হাসি নতুবা হাজারও প্রশ্নে ভরা চোখের দৃষ্টি।
সাধারণত, খাওয়া-দাওয়া, অত্যাধিক স্ট্রেসের কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া, অতিরিক্ত পুরুষ হরমোনের উৎপাদন থেকেও চুল পেকে যেতে পারে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানান, প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন…বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা বুধবার
পাকা চুল কমাতে শিকাকাই ও রিঠার শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। এই দুটি উপাদান প্রথমে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি দিয়ে মাথা পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২টা আমলকি পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নেওয়া পানিটা কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এর জন্য বিভিন্ন শাকসবজি, ফলের রস, বাদাম, কাজুবাদাম, আমন্ড ও ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম, জিঙ্কস ফোলিক অ্যাসিডের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে। এগুলো প্রতিদিনের স্ট্রেস দূর করে চুল পেকে যাওয়া রোধ করে।
ভালো মানের প্রোটিন নিয়মিত খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এর জন্য ডাল, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম নিয়মিত খাওয়া জরুরি। প্রোটিন প্রাকৃতিকভাবে চুল পেকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
ভিটামিন এ মাথার ত্বক (স্ক্যাল্প) ও চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, কমলালেবু, হলুদ ফলের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। প্রতিদিনের ডায়েটে এই খাবারগুলো থাকলে সহজেই চুলের বার্ধক্য কমানো যায়।
ইবাংলা/জেএন/৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.