নড়াইলে কিশোর ইয়াসিন হত্যা ঘটনায় ৫জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সেই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ছিনতাই হওয়া ইয়াসিনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৩ জানুয়ারী) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন।
গ্রেফতার হওয়া দু’জন প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা হলো ইয়াসিনের বন্ধু নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মফিজ খাঁনের ছেলে হাসিব খাঁন (২০) ও কুদ্দুস মোল্যার ছেলে হোসাইন মোল্যা। এছাড়া মোটরসাইকেল কেনা-বেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেল হোসাইন, শরিফুল ইসলাম ও লিটন মিয়া নামে অপর ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ কামরুামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ দোলন মিয়া, সদর থানার ওসি মাহমুুদুর রহমান, ওসি (ডিবি) সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৬ জানুয়ারী) রাত ৯টার দিকে শহরের ভওয়াখালী এলাকার বিল্লাল মোল্যার ছেলে ইয়াসিন মোল্যা (২০) মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে পার্শ্ববর্তী হিজলডাঙ্গায় মেলা দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।
আরও পড়ুন…মাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
নিখোঁজের ৬দিন পর গত রোববার দুপুরে সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া ঈদগাহের পাশ থেকে ইয়াসিন মোল্যার (২২) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পরে একইদিন রাতে ডিবি পুলিশ ইয়াসিনের বন্ধু কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মফিজ খাঁনের ছেলে হাসিব খাঁন (২০) ও কুদ্দুস মোল্যার ছেলে হোসাইন মোল্যাকে নড়াইল ও যশোর থেকে গ্রেফতার করে।
তাদের স্বীকারোক্তিতে সোমবার সকালে আলোকদিয়া গ্রামের একটি সরিষার ক্ষেত থেকে ইয়াসিনকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও যশোরের শার্শা থানার খাজুরা গ্রাম থেকে অপর আসামি মোঃ আমিনের বাড়ি থেকে ইয়াসিনের ব্যবহৃত পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি (ডিবি) সাজেদুর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় নড়াইল জেলার ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামীদ্বয়কে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন…কবিরহাটে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন,ইয়াসিন নিখোঁজের ঘটনায় তার বোন বাদি শিরিনা খানম গত মঙ্গলবার নড়াইল সদর থানায় একটি জিডি করেন। ওই জিডি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
ইবাংলা/জেএন/২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.