বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনি কি আল্লাহর ফেরেশতা? আপনি কি করে জানেন আজরাইল কার পেছনে ঘুরছে? ফখরুল সাহেব আল্লাহ আপনাকে কবে ফেরেশতা বানাল, নবী বানাল?
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, সব আজগুবি খবর, সব নষ্ট রাজনীতি, তারা করে নষ্ট রাজনীতি, ওসব নষ্ট কথা তারাই বলেন। কী ভয়াবহ? এসব রাজনীতিতে এসব কুসংস্কার আছে? যে প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলছে। এই রকম ভয়াবহ গুজব ছড়ায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আজকে পথহারা পথিকের মতো, কী করবে, কী কর্মসূচি দেবে এ নিয়ে ৫৪ দল, ৫৪ পথ, ৫৪ মত। এ দল ছোট হয়ে আসবে বেশি দেরি নয়। ডানে বামে একাকার, এখন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চলে। বিএনপির এখন আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে, অদৃশ্য নির্দেশে। বিদেশিরা কখন সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, আল্লাহর উপর ভরসা করে বিদেশিদের উপর তাকিয়ে আছে। জনগণ নেই, পাবলিক নেই, নিষেধাজ্ঞা ও অদৃশ্য নির্দেশ তাদের রাজনীতি। আমরা তাদের দুর্বল ভাবি না। আওয়ামী লীগ বিরোধী সকল শক্তি, কিছু অপশক্তি, আওয়ামী লীগ বিরোধী নিয়ে গঠন করেছে বিএনপির নেতৃত্বে। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন…অস্বাস্থ্যকর ও দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে ঢাকা
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নাকি জিয়াউর রহমান, এটা আজগুবি কথা। ফখরুল সাহেব মাঝেমধ্যে উদ্ভট কথা বলেন। জিয়াউর রহমান পারলে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেন। ১৯৭৫ সালের ঘটনা ঘটানোই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যে। তিনি করবেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন? জয় বাংলা নিষিদ্ধ হলো কেন? বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হলো কেন? স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হলো কেন?
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বিদেশে থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বারে বারে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কামনায় আওয়ামী লীগের ধ্বংস করা। অন্তরজ্বালা, শেখ হাসিনার জীবন নিরাপদ নয়, এটা বলে নাকি মহা অন্যায় করে ফেলেছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/টিএইচকে
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.