পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার সকাল ১১টায় তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সেতু উদ্বোধন করেন। এসময় সেতু নির্মাণে দেশ ও বিদেশের যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান। উদ্বোধনের পরই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চার লেনের এই সেতুটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে আমরা সবাই ঘরে বন্দী। আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে স্থান দিয়ে নদীপথে যাওয়া-আসা করেছি সেই নদীপথের ওপর নির্মিত সেতুর ওপর গাড়ি চালিয়ে যেতে। সেখানে গাড়ি চালিয়ে যাব, গাড়ি থেকে নেমে সেতুর ওপর একটু দাঁড়াব। করোনার কারণে পারলাম না। সেটা হবে ইনশাআল্লাহ। আমি আসবো।’
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার শেষ ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের শুরুর অংশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পায়রা নদীর ওপর সেতুটির অবস্থান। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা থেকে এ সেতুটি ১৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বরিশাল নগরের রূপাতলী থেকে ২৯ কিলোমিটার, পটুয়াখালী শহর থেকে ১১ কিলোমিটার এবং সাগরকন্যা কুয়াকাটার বাস টার্মিনাল থেকে ৭৯ কিলোমিটার দূরে এ সেতুর অবস্থান। সেতুর উত্তর দিকে ওজন স্কেল এবং দক্ষিণ দিকে ইলেকট্রনিক টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে।
পায়রা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা, যার ৮২ ভাগ অর্থ বহন করছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং এপেক ফান্ড। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এ সেতুর ইতিমধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুর উভয় পাড়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। নদীশাসনের কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করছে।