বান্দরবানের লামা উপজেলায় নবনির্মিত উপজেলা পরিষদ ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মস্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক উন্মোচন করে লামা উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত প্রশাসনিক ভবনের উদ্ধোধন করেন।
এসময় অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইসলাম বেবী,বান্দরবান এলজিইডির নিবাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম সজুমদার,লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোস্তফা জামালসহ সরকারী বেসরকারী উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর অর্থায়নে ৬কোটি ১৮লক্ষ টাকা ব্যয়ে লামা উপজেলা পরিষদ ভবন, ১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চেয়ারম্যান কোয়ার্টার ভবন এবং ১কোটি ২৬লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইউএনও কোয়ার্টার ভবন নির্মাণ কাজ সমুহের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন…ইবিতে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে র্যালি
এদিকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জেলা সদর ছাড়াও লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাহাড়ী-বাঙালি জনগোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ এখন বিচ্ছিন্ন নয়। উন্নয়নের কারনে আমরা পাহাড় ও সমতলের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী চমক দেখিয়েছেন। দেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করলে দেশ সুষম উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে। বাংলাদেশ এখন অপার সম্ভাবনার দেশ। আমাদের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে। এ জনসংখ্যাকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্ত করে জনসম্পদ হিসেবে ব্যবহার করলে ২০৪১ সালের আগেই আমরা সোনার বাংলায় পরিণত হব।
আরও পড়ুন…ঢাকা বিভাগীয়’ সমাবেশ করছে বিএনপি
বিশেষ অতিথির পাবত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখান না, মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। এলজিইডির অর্থায়নে এলাকায় ৬৮ কোটি ১৮ লক্ষ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২শ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছে।
ইবাংলা/ জেএন/৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.