বরগুনার বামনায় দাবীদার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
তবে এ বাছাই কার্যক্রমে সরকার অনুমোদিত তিন সদস্যের বাছাই কমিটির বাইরে বিতর্কীত অঅনুমোদিত ব্যক্তি দাবীদার মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত হওয়া বাছাই কার্যক্রম বাতিল ও বিতর্কীত ব্যক্তিদের বাছাই কমিটিতে না রাখার দাবীতে বামনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন দাবীদার মুক্তিযোদ্ধা সন্তাদের একাংশ।
শনিবার সকালে বামনা প্রেসক্লাব হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবীদার মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের পক্ষে মো. সেলিম মোল্লা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ. রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধা বানাতে বিপুল অঙ্কের টাকা গ্রহন করেছেন।
আরও পড়ুন…বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা সিরিয়ায় পৌঁছেছে
যারা তাদেরকে টাকা দেয়নি তাদের সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও তারা তাদের কাগজ পত্র ভুয়া দাবী করে বাতিল করেন।
শুধু তাই নয় এই কমিটির লোকজন যাদের কোন কাগজ সঠিক নেই তাদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেন।
এছাড়াও বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আ. রশিদ মিয়া যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য না হয়েও তাকে এই কার্যক্রমের মুখ্য ভুমিকায় রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে বামনার মুক্তিযোদ্ধারা একাধীকবার বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আ: রশিদ মিয়া বাছাই কমিটির সভাপতি মো. শফিকুর রহমান এবং সদস্য মো. তোফায়েল আহম্মেদকে ২০১৭ সালে অমুক্তিযোদ্ধা দাবী করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্যাডে একটি লিখিত অভিযোগ করেন জামুকায়। ফলে তাদের দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কার্যক্রম স্বচ্ছ হবার কথা নয়।
আরও পড়ুন…নড়াইলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বামনা প্রেসক্লাব সভাপতি নেছার উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল, এমএ মতিন আকন্দ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আ: গফ্ফার মোল্লা, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
ইবাংলা/ জেএন/১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.