বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সে ৭ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুললো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে জয়ের দেখা পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে সিলেটকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে সিলেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন এবং চার্লসের ফিফটিতে ৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে শিরোপা জিতে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লিটন ফিফটি করে আউট হয়ে ফিরলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন শেষের ঝড়ে সিলেটকে টালমাটাল করে দেওয়া চার্লস।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে বিএনপির ৫ নেতাকর্মি গ্রেফতার
এদিন আগে ব্যাটিং সিলেট ইনিংস ছিল কেবলই নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিমজুড়ে। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ ক্রিকেট খেলা শান্ত ফাইনালের মঞ্চেও ছিলেন সিলেটের অন্যতম ভরসার নাম। খেলেছেন ৬৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৪৫ বলে ৯টি চার ও একটি ছয়ে এই রান করেছিলেন শান্ত।
এই ইনিংসের সুবাদে চলতি বিপিএলে পাঁচশো রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেছেন শান্ত। করেছেন সর্বমোট ৫১৬ রান। বাংলাদেশিদের মধ্যে যা বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। শান্ত এই ইনিংস খেলার পথে মুশফিকুরের সঙ্গে গড়েন ৭৯ রানের জুটি।
আরও পড়ুন…হুদার তৃণমূল বিএনপি পেল নিবন্ধন
মুশফিকও খেলেন ৭৪ রানের অসাধারণ এক অপরাজিত ইনিংস। ৪৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে ইনিংসটি সাজান এই ক্রিকেটার। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া রায়ান বার্ল কেবল ১৩ রান করতে পারেন। অন্যরা সকলেই আউট হয়ে যান সিঙেল ডিজিটে।
এদিন কুমিল্লার ফিল্ডাররা একের পর এক ক্যাচ মিস এবং ফিল্ডিং মিস করেন। কুমিল্লার ফিল্ডাররা চারটি ক্যাচ মিস করেন। এরমধ্যে মুস্তাফিজের বোলিংয়ে মিস করেন তিনটি ক্যাচ। তবুও এই বাঁহাতি পেসার শিকার করেন ২ উইকেট। এই পেসার ছাড়াও নারিন, রাসেল, তানভীর এবং মঈন আলী পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাসের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় কুমিল্লা। অবশ্য পাওয়ারপ্লের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নেয় সিলেট। ঝড় তোলার আভাস দেওয়া নারিন ১০ এবং কুমিল্লার অধিনায়ক ফেরেন মাত্র ২ রান করে। উইকেট হারালেও লিটন একপ্রান্তে ঝড় তোলেন। পাওয়ারপ্লেতে কুমিল্লা তোলে ৪৯ রান।
দুই উইকেট হারানোর পর লিটন এবং চার্লস তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন। লিটন ৩৬ বলে দারুণ এক ফিফটি তুলে আউট হয়ে গেলে ভাঙে জুটিটি। ৩৯ বলে ৭টি চার ও ১টি ছয়ে ৫৫ রান করে আউট হয়ে ফেরেন লিটন।
আরও পড়ুন…নড়াইলে অবহিত করণ ও পরিকল্পনা সভা
এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরার পর মঈনকে নিয়ে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে কুমিল্লাকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন চার্লস। উইকেটের একপ্রান্তে মঈন ১৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ২৫ রান করে অপরাজিত থেকে কেবলই দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।
অন্যপ্রান্তে চার্লস ৫২ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছয়ে খেলেন ৭৯ রানের অপরাজিত অনবদ্য এক ইনিংস। যদিও ইনিংসের এক পর্যায়ে ৩৯ বলে ৩৯ রান ছিল চার্লসের নামের পাশে। কুমিল্লারও প্রয়োজন ছিল ৪ ওভারে ৫২ রান।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে দাদনের চাপে কিশোর শ্রমিকের আত্মহত্যা
সেখান থেকে মাত্র ২০ বলে জয় নিজেদের করে নেয় কুমিল্লার। শেষ ৫২ রানের মধ্যে চার্লস মাত্র ১৩ বল থেকে নেন ৪০ রান। এরমধ্যে সতেরতম ওভারে রুবেলকে পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে ২৩ রান তুলে খেলা নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন চার্লস। সিলেটের পক্ষে রুবেল ২টি এবং লিন্ডে ১টি উইকেট নেন।
ইবাংলা/ জেএন/১৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.