গুচ্ছেই থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, অভিন্ন ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিশনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির সভায় জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন>> জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: রওশন এরশাদ

সভায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং এবারের গুচ্ছ ভর্তি যেন অনন্য হয় সে বিষয়ে আয়োজকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

কোভিড মহামারীর সময়ে ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ এড়াতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। শুরুতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তে আসে। পরবর্তীকালে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ গুচ্ছে অংশ নেয়।

শুরু থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবার এই প্রক্রিয়ায় না থাকার জোর দাবি তোলে। তাদের মত, এতে তারা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাচ্ছিলেন না। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলও গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে সিদ্ধান্ত জানায়।

এ দিনের সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিদ্যমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভর্তিতে বিগত বছরের জটিলতাগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এবং ভর্তি কীভাবে আরও সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন মুশফিকের

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা একটি ভালো পরীক্ষা পদ্ধতি। নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে পিছুহটার বা বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা যেন ভালো ও সর্বজনস্বীকৃত পদ্ধতি হয়, সেজন্য উপাচার্য ও ভর্তি সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংবেদনশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন।

১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে আসেনি। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়নি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ও(বুয়েট)।

ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান তিনি।

আরও পড়ুন>> আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি

তিনি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংশ্লিষ্টদের অল্প সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং ক্লাস শুরু করার আহ্বান জানান।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক মো. আবু তাহের, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর উপস্থিত ছিলেন।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us