রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার উচ্চ তাপমাত্রা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন…চাঁদ দেখা যায়নি, রোজা শুরু শুক্রবার
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা কর্তৃক এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্মান্তরে আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির ভবিষ্যৎ’ যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নতর গাণিতিক মডেল, সর্বাধুনিক রাডার ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। ফলে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস প্রদানের মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন…মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মধ্যাহ্নভোজে ওবায়দুল কাদের
মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমি আশা করি, আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ুসংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
ইবাংলা/এইচআর /২৩ মার্চ ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.