বিশ্বকাপের সেই চমক অব্যাহত রেখেছে মরক্কো। বিশ্বকাপে একের পর এক বড় দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল মরক্কো। আরব বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে ফ্রান্সের সঙ্গেও দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছিল দলটি। বিশ্বকাপের সেই দাপট যে ফ্লুক ছিল সেটা আরও একবার প্রমাণ করল মরক্কো। প্রীতি ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন… আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজের সর্বনিম্ন টিকিট ২০০ টাকা
কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর এটি ছিল ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ। ছয় বছর ডাগআউটে দায়িত্ব পালন করা তিতের বিদায় আর চোটে আক্রান্ত নেইমার ও থিয়াগো সিলভাবিহীন ব্রাজিলের শুরুর একাদশ ছিল তারুণ্যেভরা। ভারপ্রাপ্ত কোচ রেমন মেনেজেস আন্তর্জাতিক অভিষেক করিয়েছেন সম্ভাবনাময়ী চার তরুণকে। আরেকটা কারণেও মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বিশেষ। কিংবদন্তি পেলের মৃত্যুর পর প্রথমবার মাঠে নেমেছে ব্রাজিল। ম্যাচের শুরুতে পেলেকে স্মরণ আর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জার্সিও পেছনে ছিল ফুটবল-রাজার নাম। কিন্তু কাজের কাজটাই করতে পারলো না পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শুরু থেকেই ব্রাজিলের তুলনায় গতিসম্পন্ন ছিল মরক্কো। বল ব্রাজিলিয়ানদের পাঁয়ে থাকলে কেড়ে নেওয়ার প্রবল চেষ্টা আর দ্রুত আক্রমণে ওঠার প্রবণতা দেখা গেছে প্রথম থেকেই। ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে অবশ্য ব্রাজিল। ১৩ মিনিটে লুকাস পাকেতার থ্রু বল খুঁজে নিয়েছিল রনিকে, তবে কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। ২৪ মিনিটে মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের শট এগিয়ে আসা বুনুর হাত ফসকে পেছনে গোলমুখের দিকে চলে যাচ্ছিল। শেষমুহূর্তে পেছনে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি।
আরও পড়ুন… পাকিস্তানকে প্রথমবার হারালো আফগানরা
এর দুই মিনিট পরই অবশ্য বল জালে পাঠান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে আক্রমণ তৈরির সময় অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। ২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খাননুসের কাছ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বুফাল। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল রদ্রিগোর সামনে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে দশ নম্বর জার্সি পরা এই ফরোয়ার্ড কাছ থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
৬৭ মিনিটে মরক্কোর গোলরক্ষক বোনের ভুলে সমতায় ফিরে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কাসেমিরোর শট ঠিকভাবে ধরতে পারেননি তিনি, বল জরিয়ে যায় জালে। অবশ্য সমতায় ফেরার স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ব্রাজিলের। ৭৯ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ব্যবধান ২-১ করে মরক্কো। ওয়ালিদ ছেদদিরার বাড়ানো বলে জোরালো ভলিতে গোল আদায় করে নেন আব্দেলহালিম সাবিরি। এরপর ব্রাজিলের সমতায় ফেরার চেষ্টা কাজে লাগেনি। যাতে ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
ইবাংলা/এইচআর /২৬ মার্চ ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.