দক্ষিণ-পশ্চীম ইউরোপের দেশ স্পেনে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল। দেশটিতে দাবানলের আগুনের পুড়ে গেছে অন্তত ৯ হাজার ৯০০ হাজার একর বিস্তৃত বন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ১ হাজার ৭০০ গ্রামবাসী।
শনিবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা কয়েকজন ব্যক্তি জানিয়েছেন, নিজেদের গৃহপালিত পশু-পাখি রেখেই চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: রমজানের রোজা না রাখলে যে ক্ষতি
আন্তোনিও জারজোসো নামের ২৪ বছর বয়সী এক যুবক বলেছেন, ‘খারাপ, আমি কী রকম থাকতে পারি? আপনার শহর পুড়ে যাচ্ছে। আপনার জীবন পুড়ে যাচ্ছে। আমাদের পশু-পাখি সেখানে ছিল। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।’
শনিবার ভিলানুভা দে বিভার গ্রামের কাছে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের ৫০০ সদস্য। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ২০টি বিমান। ওই গ্রামের ১ হাজার ৫০০ বাসিন্দাকে আগুনের ভয়াবহতার কারণে সরে যেতে হয়।
এছাড়া আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরাগন অঞ্চলের তেরুয়েল এলাকায়। ওই এলাকা থেকে ২০০ জন মানুষকে সরিয়ে নিতে হয় বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে ভাগ্য ভালো যে, আগুন অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আগে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সমর্থ হন দমকল কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযোদ্ধারা কোনো কিছুর বিনিময়ে যুদ্ধ করেনি’
লস কালপেস অঞ্চলের বাসিন্দা মন্তসে বোরোনাট রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আশপাশের বনে আগুন পৌঁছে গেছে। আমরা জানিনা এই এলাকার পরিস্থিতি কেমন।’
ভ্যালেন্সিয়া প্রদেশের প্রেসিডেন্ট জিমো পুইগ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগুনের ভয়াবহতা আরও বেড়েছে বর্তমান অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে।
এদিকে লাস প্রভিন্সিয়াস নামের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের ধারণা এ দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে ডালপালা ছাঁটার একটি মেশিনের আগুন থেকে।
গত বছর ভয়াবহ দাবানলে পুড়েছিল ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। এবারও শীতকালটা অস্বাভাবিক শুষ্ক ছিল। এ কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে, গত বছরের মতো এবারও দাবানলের কবলে পড়তে পারে ইউরোপ।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.