কয়েক মাস পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে বিপরীত অবস্থানে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন। আর বিএনপির দাবি, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না তারা। তবে নির্বাচন নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নিলেও পরস্পরের সঙ্গে সংলাপে না বসার একই সিদ্ধান্ত এসেছে দুই পক্ষ থেকেই। এই পরিপেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের জন্য বিএনপি মহাসচিবকে একটি চিঠি দিয়েছেন। এর সঙ্গে সরকারের কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আরও পড়ুন… ৮ দিনের সফরে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের জন্য বিএনপি মহাসচিবকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম, আপনারা অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারেন। বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় চিঠিটা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে চিঠিটা তারা পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকে লিখেছেন, বিএনপিকে চিঠি দেওয়া সরকারের কূটকৌশল। তবে আমি বলছি, বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার পেছনে সরকারের কোনও কূটকৌশল নেই। বরং এটা ইসির কূটকৌশল হতে পারে। সরকার ইসির ওপর চাপ দিলে যে ডেবে যাবে বিষয়টা ওরকম না। এখানে সরকারের কোনও রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করে না বলেও জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গত ২৩ মার্চ বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে পাঠানো চিঠিতে সিইসি লেখেন, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন… রমজানে আন্দোলনের ডাক দেয়ায় বিএনপির সমালোচনা
চিঠিতে বলা হয়, যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই। আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের ইসিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে আলোচনা করে দিনক্ষণ নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।
ইবাংলা/এইচআর /২৮ মার্চ ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.