টানা ক’দিন তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে রাজধানীতে বইছে স্বস্তির বাতাস। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় তাপপ্রবাহের তেজও খানিকটা কমেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। শেষ কবে এত তীব্র গরম পড়েছিল তা অনেকেরই অজানা। তবে তীব্র গরমে দেশজুড়ে বৃষ্টির জন্য হাহাকার চলছে। অবশ্য তাপপ্রবাহের দাপটের পর সোমবার (১৭ এপ্রিল) সিলেটের কয়েকটি এলাকায় ঝরেছে স্বস্তির বৃষ্টি।
আরও পড়ুন… লাইলাতুল কদরের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার আহ্বান
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপের অবস্থান দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এই অবস্থায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে কালবৈশাখীর প্রবণতা বাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। ঈদ আনন্দ ভাটা পড়তে পারে কালবৈশাখীর কারণে, মিলছে এমন শঙ্কাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বেড়েছে দেশের তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গার পর রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে ওই জেলার ঈশ্বরদী। সেখানে সোমবার দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন… ‘বিলম্বে’ চলছে ট্রেনে দ্বিতীয় দিনের ঈদযাত্রা
এদিকে, ঢাকার আকাশে খুব বেশি মেঘের আনাগোনা দেখা না গেলেও দৃষ্টিসীমায় কুয়াশার মতো আবরণ তৈরি হয়েছে। এতে রাজধানীর তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কমলেও গরমের অস্বস্তি আপাতত কমছে না। বরং রাতের তাপমাত্রা বেড়ে ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি বাড়বে। আর বাতাস শুষ্ক থেকে ধীরে ধীরে আর্দ্র হওয়ায় ঠোঁট ফেটে যাওয়া এবং শরীর জ্বালাপোড়া কমবে।
ইবাংলা/এইচআর/১৮ এপ্রিল ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.