গত কয়েকদিন ধরে মেঘনা নদীর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস মাছ। নদীতে ইলিশ না পাওয়ার ক্ষতি পাঙ্গাসে পুষিয়ে নিতে পেরে খুশি জেলেরাও।
তবে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, জেলেদের আহরণ করা এসব মাছ নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের চেয়ে ছোট, যা ধরা দণ্ডনীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশের বিভিন্ন এলাকার জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস। আকারে বেশি বড় না হলেও প্রচুর পরিমাণ ধরা পড়ায় খুশি জেলে এবং বিক্রেতারা। আকৃতি ভেদে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। বৃহস্পতিবারও (৮ জুন) নদীতে ধরা পড়ে প্রচুর মাছ।
আরও পড়ুন: ভোলায় দুই হাজার বৃক্ষরোপণ করবে কোস্টগার্ড
ইসমানিচর এলাকার জেলে আতাব উদ্দিন জানান, আজ দুপুরে নৌকা নিয়ে বের হন তারা। নদীর ইসমানিচর এলাকায় বিকেল সাড়ে ৫টায় জাল গুটিয়ে দেখতে পান সেখানে অন্তত তিন শতাধিক পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়েছে। নদীতে ইলিশ মাছ তেমন নেই, তবে গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়ায় তারা খুশি। মাছ বিক্রি করে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।
গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার সময় অন্যান্য মাছেরও নিরাপদ প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদ-নদীতে শুধু পাঙ্গাস নয় বিভিন্ন মাছের প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মেঘনা নদীতে এমনিতেই পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যায়, তবে কয়েকদিন ধরে আমরা খবর পাচ্ছি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে ধরা পড়া মাছের বেশিরভাগই ছোট আকৃতির। দেশের মৎস্য আইন অনুসারে ১২ ইঞ্চির নিচে (৩০ সেন্টিমিটার) পাঙ্গাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ১০৪ রোগী শনাক্ত
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.টি.এম. তৌফিক মাহমুদ বলেন, নদীতে বিপুল পরিমাণ পাঙ্গাসের পোনা রয়েছে। যে মাছগুলো ধরা পড়ছে তার অধিকাংশই ছোট যা ধরা নিষিদ্ধ। ছোট আকারের মাছ না ধরতে জেলেদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। যদি তারা তারপরও মাছ ধরা অব্যাহত রাখেন তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
ইবাংলা/জেএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.