গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে উদ্ভব হয় কিউমুলোনিম্বাস মেঘের। যে কারণে বাড়ে বজ্রপাত। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা জরুরি। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বুঝেশুনে বের হতে হবে। ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে আবহাওয়া অফিস প্রাথমিক পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য কী বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সাধারণত বজ্রপাত উঁচু কোনো স্থানে হয়। তাই বৃষ্টির উঁচু গাছ, টাওয়ার এবং বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন>> আফগানিস্তান টেস্টে অনিশ্চিত তামিম!
এসময় ট্রান্সফরমারও থেকেও দূরে থাকুন। আকাশে মেঘ থাকলে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জানলে বাইরে বের হবেন না। রাস্তার বের হওয়ার পর এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
নিরাপদ আশ্রয় না পাওয়া গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাহাড়, পর্বত বা উঁচু এলাকা থেকে নেমে যেতে হবে। যদি মাঠে কাজ করেন সেক্ষেত্রে দ্রুত বাড়ি ফিরে যান। সেই সুযোগ না থাকলে মাঠে শরীর গোল করে গুটিয়ে বসে পড়ুন। অনেকে মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে পড়েন। এমনটা কোনোভাবেই করা যাবে না। শুধু পায়ের আঙুলগুলো যেন মাটি স্পর্শ করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
আরও পড়ুন>>শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে
বজ্রপাতের সময় এক জায়গায় অনেকে জড়ো হন। এমনটা করা যাবে না। পরস্পরের থেকে দূরে থাকতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে পুকুর, হ্রদ, সুইমিং পুল, সমুদ্র সৈকতের মতো জায়গা। অবস্থান নিতে হবে নিরাপদ কোনো স্থানে।
বাড়ির ভিতরে বজ্রপাত হলে পানির কল ইত্যাদির মাধ্যমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই বজ্রপাতের সময় গোসল এবং হাঁড়ি-পাতিল ধোওয়ার কাজ এড়িয়ে চলাই ভালো। এসময় ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, বিদ্যুতের সঙ্গে সংযুক্ত অন্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিভাইসও ব্যবহার করবেন না।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.