সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সফরকারীরা। এ ম্যাচটি হারলেই ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া হবে টাইগারদের।
শনিবার চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করেছে সফরকারীরা। এতে জয়ের জন্য ৩৩২ রান করতে হবে লিটন দাসের দলকে।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে সফরকারী আফগানিস্তান। এদিন আফগানদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
আরও পড়ুন>> ব্রাজিলে আবাসিক ভবন ধসে নিহত ৮
ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠের চারদিক থেকে রান তুলতে থাকেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। সফরকারীদের দুই ওপেনার ভালোই পরীক্ষা নেন বাংলাদেশের বোলারদের। এরপর ঝরো গতিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন গুরবাজ। অবশ্য সাকিব ভেলকিতে ১৪৫ রানে থামে তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি।
এরপর ক্রিজে আসেন রহমত শাহ। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। ম্যাচের ৩৮তম ওভারে এবাদত হোসেনের বলে মুস্তাফিজুরের তালুবন্দী হয়ে ২ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
উইকেটে রান তুলতে থাকা ইব্রাহিমকে সঙ্গ দিতে আসেন আফগান অধিনায়ক শাহিদী। তবে মিরাজের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে মাত্র ২ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনিও। এতে খানিকটা চাপে পড়েন আফগান ব্যাটাররা।
সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণি উপেক্ষা করে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন ইব্রাহিম জাদরান। অবশ্য সেঞ্চুরির ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি তিনি। মুস্তাফিজের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে শান্তর তালুবন্দী হয়ে ১০০ রানেই থামতে হয় এ ওপেনারকে।
পরে বাইশ গজে আসেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। ব্যাটিংয়ে নেমেই শান্তর হাতে জীবন পান তিনি। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৪৪তম ওভারে মিরাজের বলে ১০ রানে কাটা পড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
ব্যাট হাতে ক্রিজে এসেই মুস্তাফিজকে বাউন্ডারি হাকান রশিদ খান। এতে তিনশো স্পর্শ করে আফগানরা। তবে পরের ওভারে সাকিব ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে যান এ লেগি। ৪৮তম ওভারে আজমতউল্লাহকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। ইনিংসের শেষ ওভারে মুজিব ও ফজল হককে ফেরান হাসান মাহমুদ।
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ২৫ রান করেন মোহাম্মদ নবী। এতে ৩৩১ রানে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব, মুস্তাফিজ, হাসান ও মিরাজ। এছাড়াও একটি উইকেট তুলে নেন এবাদত হোসেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.