আসছে নতুন প্রযুক্তির তারবিহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

অনলাইন ডেস্ক: কম্পিউটার ও স্মার্টফোন ইন্টারনেট ছাড়া যেন অচল!শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। মোবাইল ইন্টারনেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রডব্যান্ড সংযোগ। প্রত্যেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে।

অফিসের কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস অর্ডার করার জন্যও ইন্টারনেটের প্রয়োজন হয়। এখনও পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছানোর জন্য তারের প্রয়োজন হয়, সেটা ফাইবার ইন্টারনেট হোক বা পুরনো ইন্টারনেট পরিষেবা।

আরও পড়ুন>> পায়রায় এলো চতুর্থ কয়লাবাহী জাহাজ

প্রত্যেক বাড়িতে সকলের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছানোর জন্য তারের প্রয়োজন হয়। সেই তারটি বাড়িতে এনে ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় এবং তারপর রাইটারের মাধ্যমে পুরো বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।

এই বিষয়ে জেনে রাখা প্রয়োজন, আগামী দিনগুলোতে তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করার প্রয়োজন হবে না। কারণ খুব শিগগিরই লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে সকলের ঘরে। এরপর তারের কাজ বা তার কাটার কাজ শেষ হয়ে যাবে। কারণ লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে দূরের পাহাড়েও ইন্টারনেট সহজেই পৌঁছানো যায়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কতদিনে এই লেজার ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা যেতে পারে।

লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট কী

ভারতে এয়ারটেল লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে সে দেশে ইন্টারনেট কভারেজ বিস্তৃত করতে কাজ করছে। এই কোম্পানি লেজার ইন্টারনেটের জন্য গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে এয়ারটেল ভারতের শহরগুলোর পাশাপাশি গ্রামেও হাই স্পিড ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে। লেজার প্রযুক্তিতে তার ব্যবহার করা হবে না। এর পরিবর্তে বিভিন্ন স্থানে একটি মেশিন বসানো হবে, যা লেজার বিমের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে।

সহজ ভাষায় বললে বাজারে বাচ্চাদের খেলার জন্য যে লেজার লাইট রয়েছে, এই প্রযুক্তিও একইভাবে কাজ করবে। অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছে যে, বাচ্চারা লেজার লাইটের মাধ্যমে অনেক দূরে আলো পাঠাতে পারে। একইভাবে লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে এয়ারটেল।

এই লেজার ভিত্তিক ইন্টারনেট প্রযুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে অ্যালফাবেটের ক্যালিফোর্নিয়া ইনোভেশন ল্যাবে, যাকে এক্স বলা হচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে টারা(Taara)। এই প্রযুক্তি দ্রুত ইন্টারনেট সরবরাহ করতে আলোক রশ্মি (অর্থাৎ লাইট বিম) ব্যবহার করে।

ইবাংলা/এসআরএস

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us