খেলাধুলা ডেস্ক: প্রাক-মৌসুমের প্রস্তুতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের প্রায় সবকটি দলই এখনও ব্যাস্ত। প্রত্যেক ক্লাবই বেশ কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে মৌসুম শুরুর আগে। তারেই ধারাবাহিকতায় রাতে স্থানীয় ক্লাব এফসি রোটাখ এগার্নের মুখোমুখি হয় বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে বায়ার্ন পেয়েছে কল্পনাতীত জয়। কেননা ফুটবল ম্যাচে দুই অঙ্কের গোল বিরল। প্রি-সিজন প্রীতি ম্যাচে এগার্নের বিপক্ষে সেটাই করে দেখাল টমাস টুখেলের দল। এফসি রোটাখের জালে ২৭ গোলের বন্যা বইয়েছে বায়ার্ন। জামাল মুসিয়ালাসহ চারজন করেছেন হ্যাটট্রিক।
এই দলের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য অবশ্য বিন্দুমাত্র হাল্কা মেজাজে ছিল না জার্মানির চ্যাম্পিয়নরা। মৌসুমের প্রথম প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় সেরা প্রথম একাদশই নামিয়েছিলেন বায়ার্নের কোচ টুখেল। বিশাল এই জয়ের ম্যাচের ৩ মিনিটেই প্রথম গোল করেন মুসিয়ালা। ৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান গিনাব্রি। ৮ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন ডেভিস। ১২ মিনিটে ফের গোল করেন গিনাব্রি। ১৩ মিনিটে দলেও ব্যবধান আরও বাড়ান মুসিয়ালা। ২০ মিনিটে গোল করেন লেইমার। ২২, ২৬ ও ২৮ মিনিটে গোল করেন হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন টেল।
আরও পড়ুন>> থাইল্যান্ডে ভারত-বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
অপরদিকে ২৮ মিনিটেই গোল করেন মাজরাউই। ৩১ মিনিটে গোল করেন উপামেচানো। ৩৫ মিনিটে গোল করেন সানে। ৩৭, ৪২ ও ৪৫ মিনিটে গোল করেন মুসিয়ালা। অপরদিকে ৪৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন গ্যানবারি। এছাড়া ৩৪ ও ৪১ মিনিটে গোল করেন টেল। ফলে ১৮-০তে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। যেখানে প্রথমার্ধেই পাঁচ গোল করেন মুসিয়ালা। এছাড়া ম্যাথাস টেল প্রথমার্ধে করেন পাঁচ গোল। সের্গি গিনাব্রি দেন তিন গোল।
বিরতিতে থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও এই গোলের ধারাবাহিকতায় রাখে টুখেলের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধের নয় গোলের দেখা পায় বাভারিয়ানরা। এর মধ্যে পাঁচটি করেন ম্যানইউ থেকে ধারের মেয়াদ শেষ করে বায়ার্নে ফেরা মার্সেল সাবিতজার। এদিকে দল বড় ব্যবধানে জিতলেও, মাত্র ১ গোল করেন লিভারপুল ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া সাদিও মানে। তিনি লিভারপুলে খেলার সময় দলের অন্যতম সেরা ফুটবলার ছিলেন। কিন্তু বায়ার্নে এসে ছায়া হয়ে আছেন সেনেগালের এই তারকা। এদিকে তিনি দল ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা আছে গণমাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত ২৭-০ গোল ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
এর আগে এই দুই দল দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথম প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবার মাঝারি মানের এ দলটির জালে ২০ গোল দিলেও বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়নদের হজম করতে হয়েছিল দুইটি গোল। দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালের দেখায় বায়ার্ন ২৩ বার এগার্নের জালে বল ঢুকিয়েছিল। এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭ গোলের মালা সাজাল তারা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.