এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মশাবাহিত এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১০ জন। একই সময়ে নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৭৫৭ জন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৯৩ জনের। আর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৪৭৩ জনে।
আরও পড়ুন>> এডিস মশা নিধনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৫৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৯২ জন ও ঢাকার বাইরের ৮৬৫ জন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০ জনের ৮ জন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২ জন ঢাকার বাহিরের।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৪৭৩জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩৩ হাজার ৪৫৪ জন। পাশাপাশি ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২৮ হাজার ১৯ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫২ হাজার ১৫৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৮ হাজার ৬৫২ জন এবং ঢাকার বাইরের ২৩ হাজার ৫০২ জন।
প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.