আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে না। ইভিএমের পর এবার সিসি ক্যামেরা প্রকল্পও বাতিলের কথা জানাল ইসি।
রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই ক্যামেরা ব্যবহারে বাধ্য নয় কমিশন।
আরও পড়ুন>> ডিবিতে যে অভিযোগ জানালেন অপু বিশ্বাস
এদিকে জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ইসি আলমগীর বলেন, বিষয়টি আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়নি তেমন। ফরমাল কোনো আলোচনা হয়নি। চিন্তাভাবনা নেই। কারণ আপনারা জানেন যে, ৩০০ আসনে যখন ভোট হয়, চার লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়ত বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে। এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা করব। মানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব। সবগুলো দল যদি অংশগ্রহণ করে সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ তারা জানেন যে, নির্বাচনে যদি কোনো পরিস্থিতির অবনতি হয় বা খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এর আগে ক্যামেরা দেখে গাইবান্ধার ভোট বন্ধের ঘটনায় সরকারদলীয় নেতাদের তোপের মুখে পড়ে ইসি। তবুও পরিকল্পনা নেওয়া হয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের।
সে অনুযায়ী ২৭০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত করে ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা। সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে কমিশন। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আর ব্যবহার হচ্ছে না সিসি ক্যামেরা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.