মিয়ানমারে বিদ্রোহী দমন করতে গিয়ে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তিন হাজারের বেশি জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি সেনা।
দেশটির সামরিক সরকারবিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এই দাবি করেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির বিরোধী দলগুলো একটি সমান্তরাল সরকার গড়ে তোলে, যেটি ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা এনইউজি নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন>> আইফেল টাওয়ারে বোমা আতঙ্ক, সরানো হলো দর্শনার্থীদের
দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে নিজেদের সশস্ত্র শাখা এবং বিদ্রোহী মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে মিয়ানমারের ৩ হাজার ১২ জন জান্তা সেনা নিহত এবং ৪ হাজার ২১ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে এনইউজি।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জান্তা বাহিনী এবং এনইউজি-এর পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ও সহযোগী সশস্ত্র সংস্থাগুলোর (ইএও) মধ্যে মোট ৯৩৫টি সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এসব সংঘর্ষে পিডিএফ গ্রুপ এবং মিত্র ইএও বাহিনী ৩০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এনইউজি-এর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি উ মং মং সোয়ে।
তিনি বলেন, দখলে নেওয়া এসব ঘাঁটির মধ্যে কায়াহ প্রদেশে ১০টি, সাগাইং অঞ্চলে ছয়টি এবং দেশের নিম্নাঞ্চলে ১৯টি ঘাঁটি রয়েছে।
এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জান্তা সরকারের ১৫টি পুলিশ স্টেশন এবং জান্তার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১০টি ফাঁড়িও দখল করে নেয়। একইসঙ্গে জান্তাপন্থি পিউ সাউ হতি নামক একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ১৪টি ঘাঁটিও দখল করে নেওয়ার দাবি করেছে এনইউজি।
তবে সংঘর্ষে জান্তা সেনাদের হামলায় ঠিক কী পরিমাণ প্রতিরোধ যোদ্ধা হতাহত হয়েছেন তা প্রকাশ করেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.