১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যার পর বাঙালি জাতি যখন শোকাচ্ছন্ন, স্তব্ধ ও বিমূঢ় হয়ে পড়েছিলো, তখনই প্রথম প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন কিশোরগঞ্জের একদল অকুতোভয় তরুণ। ঐদিনই সকাল সাড়ে ৯ টায় তারা কিশোরগঞ্জের স্টেশন রোডে রংমহল সিনেমা হলের সামনে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সেদিনের মিছিলে অংশগ্রহণকারী ২০ জনের ১১ জন এখনো এই সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করবেন। আর ৯ জনের পরিবারের সদস্যরা তাদের পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করবেন। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে আমরা একাত্তর নেতৃবৃন্দ যশোদল বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস। ‘আমরা একাত্তর’ সেই দিনটিকে স্মরণ করে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জের স্টেশন রোডে রংমহল সিনেমা হলের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন…ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা
এই সমাবেশে সেদিনের প্রতিবাদীদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তারা, মরহুমদের পরিবারের সদস্যরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমরা একাত্তরের কেন্দ্রীয় ও কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন।
সমাবেশ শেষে স্থানীয় শেরাটন হোটেল (রংমহল সিনেমাহলের উল্টোদিকে) মিলনায়তনে এক আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে জাতির পিতার হত্যার প্রথম প্রতিবাদীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে।
জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে আমরা একাত্তর এবছর মাসব্যাপি নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর আগে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ১ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং ৫ আগস্ট টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন…বাউসি হাই স্কুল এন্ড কলেজে শোক দিবস- বিদায় ও সম্বর্ধনা উপলক্ষ্যে দোয়া
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিশ্বব্যাপি আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে আমরা একাত্তর। পাশাপাশি বাঙালির গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সম্পর্কে তরুণদের উজ্জীবিত করতে কাজ করছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.