শারীরিক ভাষা আমাদের ভঙ্গি, চোখের চাহনি এবং এমনকি হ্যান্ডশেক করার ধরনও আমাদের ব্যক্তিত্বের প্রকাশে সাহায্য করে। একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তি যেকোনো কাজ আরও ভালোভাবে পারফর্ম করার যোগ্যতা রাখে, ঠাণ্ডা মাথায় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবং শক্তিশালী পেশাদার সম্পর্ক স্থাপন করে। তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়ার বিকল্প নেই। তবে মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস আপনার ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান তবে এই ৬ বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
শারীরিক ভাষা আমাদের ভঙ্গি
আমাদের ভঙ্গি, চোখের চাহনি এবং এমনকি হ্যান্ডশেক করার ধরনও আমাদের ব্যক্তিত্বের প্রকাশে সাহায্য করে। আমাদের শারীরিক ভাষা চারপাশের মানুষের কাছে আমাদের আত্মবিশ্বাসেরই প্রকাশ করে না, সেইসঙ্গে এটি আমাদের আত্মবিশ্বাসকেও উন্নত করে। আমরা যে আত্মবিশ্বাস অনুভব করি তা ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে এবং ইতিবাচকতা সবসময় ইতিবাচকতাকেই আকর্ষণ করে।
নিজেকে বুঝতে পারা
কর্মক্ষেত্রে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য, প্রথম এবং প্রধান যে দিকে আপনার মনোযোগ প্রয়োজন তা হলো আপনি কীভাবে নিজের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলোকে গ্রহণ করেন। আপনাকে অবশ্যই নিজের সবটুকু গ্রহণ করতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে যে কেউই নিখুঁত নয়। নিজেকে চিনতে পারলে তা আপনাকে নিজস্ব শক্তিতে ফোকাস করতে সাহায্য করবে। নিজের সীমাবদ্ধতা জানলে এবং গ্রহণ করলে আত্মবিশ্বাস দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
কথা বলার ধরন এবং ভাষা
কখনোই নিজেকে অবমূল্যায়ন করবেন না। আপনি যখন শান্তভাবে বা ইতস্তত করে কথা বলেন বা কথা বলার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকেন, তখন আপনি আপনার আত্মবিশ্বাসকে কমিয়ে দেন। এটি অন্যদের সামনে আপনাকে দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করে। কখনো ভুল না করেও ভুল স্বীকার করবেন না। তবে ভুল করলে তা অবশ্যই স্বীকার করার মানসিকতা রাখুন। বিনয়ী হোন, দুর্বল নয়।
নিজের সঙ্গে কথা বলুন
আপনার অভ্যন্তরীণ সংলাপ নিরীক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো বিষয়ের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলুন। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সাফল্য কল্পনা করুন এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেসব বাধা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করুন। ধীরে ধীরে এই অভ্যাস আপনার মস্তিষ্ককে স্ট্রেসের প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করবে। এটি আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
প্রস্তুতি
মিটিং, প্রেজেন্টেশন বা কাজের জন্য নিজেকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রস্তুত করুন। কোনো বিষয়ে আপনি ভালোভাবে জানলে বা বুঝতে পারলে তা আপনি সবার সামনে সবচেয়ে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। এটি উদ্বেগ কমায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কাজ করে। এতে সহকর্মী এবং উর্ধ্বতনদের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি এবং দক্ষতাও প্রকাশ হবে।
গঠনমূলক সমালোচনা
ইতিবাচক এবং নেতিবাচক সমালোচনা উভয়ই আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য অমূল্য। সমালোচনাকে ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করার বদলে উন্নতির সুযোগ হিসাবে দেখুন। গঠনমূলক সমালোচনা আপনাকে দক্ষতা পরিমার্জিত করতে সাহায্য করে। সুতরাং এটি গ্রহণ করুন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.