পুষ্টিগুণে ভরপুর ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষে সাফল্য

ইবাংলা ডেস্ক

  • এ ধানকে নিষিদ্ধ ব্লাক রাইসও বলা হয়। কারণ এক সময় চীনের রাজা-বাদশাদের খাবার ছিল ব্ল্যাক রাইস। যা প্রজাদের জন্য চাষ করা বা খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। এ কারণে একে নিষিদ্ধ চাল বলা হয়।

 

Islami Bank

এদিকে, ধানগাছ প্রথম সবুজ থাকলেও, ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই কালো হতে শুরু করে। খুব দামি, পুষ্টিগুণে ভরপুর। ব্ল্যাক রাইস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। এমন একটি ধান খুলনায় প্রথম কাজ করতে পেরে আনন্দের যেন কমতি নেই কৃষক ইমনের।

কৃষক মো. ইমন খান বলেন, ‘প্রথমে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে আমি এ ব্ল্যাক রাইস সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর রংপুর থেকে ধানের বীজ এনে বপন করি। ১ কেজি ধান পাঁচশ’ টাকা নেয়। ১ কেজি চালের মূল্য ৮০০ টাকা। ধানের ফলন ভালো, সময় অল্পতেই অধিক ফলন পাওয়া যায়। এজন্য আশার আলো দেখছি আমি।’

one pherma

স্থানীয় কৃষক সুকুমার রায় জানান, এ কালো ধান দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন। ফলন ভাল এবং দামি হওয়ায় ধানটি নিয়ে স্থানীয় কৃষকরাও এ ধান চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মোসাদ্দেক হোসেন জানান, খুলনা বিভাগে প্রথম চাষ হওয়া কালো ধান ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা রোগের উপকারিতা সমৃদ্ধ। এ ধান  সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। এ চালের বর্তমান চড়া মূল্য হলেও চাষাবাদ বেশি হলে দাম কমে আসবে। এ ব্ল্যাক রাইসকে বর্তমানে  পৃথিবীর নতুন সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

 ইবাংলা/এইচ/০৬ নভেম্বর, ২০২১

Contact Us