শেখ হাসিনা সব কিছু ধরে খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ফসল রাষ্ট্রকেও খেয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ার মো.শাহজাহান। তিনি বলেন, রাষ্ট্র আজকে সরকারের কাছে অসহায়। রাষ্ট্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে বন্দী হয়ে আছে। আজকে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নেই।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরের দিকে জেলা শহর মাইজদীর বড় মসজিদ সড়কের উত্তর গেইটে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বরণে আয়োজিত মৌন মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নোয়াখালী জেলা বিএনপি, অঙ্গও সহযোগী সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন…গাঁজা সেবনের দায়ে ২ বছরের কারাদন্ড
শাহজাহান বলেন,আজকে বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার কোনো স্বাধীনতা নেই, সরকার বিরোধী রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই, ন্যায় বিচার পাওয়ার কোনো অধিকার নেই। আজকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার তাদের কাছে নেই।
গায়ের জোরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে,শেষ পর্যন্ত বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার তাদের পতন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল থেকে যেভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে। কোনো চেষ্টা করে এ ফ্যাসিস্ট হাসিনার শেষ রক্ষা হবেনা। এখন যদি কেউ না বুঝে, তাকে কি ভাবে বুঝাবে।
আরও পড়ুন…এই সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে গুম-খুনের বিচার হবে: টুকু
কালো পতাকা মিছিল নিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনার জবাবেব তিনি বলেন, কালো পতাকা মিছিল মানে কেউ মারা যায়নি। কালো পতাকা মিছিল করে বুঝানো হয়েছে মানুষ আর এক মুর্হূতও আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়না। কালো পতাকা মানি আর নয়, এক্ষুনি পদত্যাগ কর।
স্টপ ডাউন কর প্রধানমন্ত্রী। এ কথা যদি না বুঝেন আর কি বুজবেন। সরবের প্রতিবাদের চেয়ে নিরবের প্রতিবাদ অনেক বেশি শক্তিশালী। এখন যার জন্য করা তিনি যদি না বুঝেন। আমাদের করার কিছু নেই। তবে যে ভাবে বুঝানোর দরকার সেভাবেও বুঝানো হবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র তৈরী করার জন্য যে মানবিক মূল্যবোধ, যে ন্যায়বিচারের আশায় যুদ্ধ করেছি,রাষ্ট্র তৈরী করেছি, সে রাষ্ট্র কোনো দলের কাছে জিম্মি হবে, বাংলাদেশের মানুষ এক বিন্ধু সহ্য করবেনা। অতএব আগামী দিনে যে লড়াই হবে, তাহবে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তির লড়াই, গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লড়াই,আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই,কথা বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লড়াই। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই।
আরও পড়ুন…মানব কল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতি: আমিনুল ইসলাম
আওয়ামীলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায় থেকে যারা কথা বলছেন,যদি আপনাদের বাড়াবাড়ির কারণে দেশে কোনো রাজনৈতিক সাংঘর্ষিক রূপ নেয়। তার দায়-দায়িত্ব বিএনপিকে নয়, এই সরকার প্রধানকে বহন করতে হবে। আশা করি এ অবৈধ সরকার আমাদের নিরবতার কথা বুঝার চেষ্টা করবেন। এরপর যত দ্রুত সিন্ধান্ত গ্রহণ করবেন দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল, আপনাদের জন্য মঙ্গল, আমাদের জন্যও মঙ্গল হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আজকে আমাদের মহাসচিবের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। গয়েশ্বরকে ডিবি অফিসেব ভাত খাওয়াতে নিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং। এসব ব্ল্যাকমেইলিং বন্ধ করেন।
আরও পড়ুন…প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনার পতনতো অবশ্যই হবে, নাহলে সে পতনতো হয়তো দুঃখজনক হবে। আমরা দুঃখজনক পতন চাইনা। আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিষয়টি সমাধান হোন।
নেতাকির্মদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে,স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করব। যে বাংলাদেশ জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখে ছিলেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান।
আরও পড়ুন…গাঁজা সেবনের দায়ে ২ বছরের কারাদন্ড
এ সময় নোয়াখালী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আবু নাছের উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.