ভোরবেলা অনেকেই ঘুমিয়ে থাকেন। এই সময় ঘুমও পেয়ে বসে সবাইকে। অথচ সারাদিনের সব কাজ ঠিকঠাক গুছিয়ে নিতে এই সময় ঘুম থেকে জেগে ওঠা জরুরি। এসময়টাতে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বরকত নাজিল হয়। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার জন্য সারা দিনে প্রচুর সময়ও পাওয়া যায়।
ভোরে ওঠার গুরুত্ব
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কারণ, সকালবেলা বরকতপূর্ণ ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, হাদিস : ৬২২০)
রাসুল (সা.)-এর আদুরে কন্য ফাতেমা (রা.) বলেন, একবার রাসুল (সা.) ভোরবেলা আমার ঘরে এসে আমাকে ঘুমে দেখতে পেলেন, তখন তিনি আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিয়ে বললেন,
হে প্রিয় কন্যা! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ তাআলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মাঝে রিজিক বণ্টন করে থাকেন।
(আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ২৬১৬)
অপবিত্র, অলসতা
হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুমাতে যায় তখন শয়তান তার মাথার শেষভাগে তিনটি গিরা দিয়ে দেয়। প্রত্যেক গিরার সময় এ কথা বলে কুমন্ত্রণা দিয়ে দেয় যে, এখনো রাত অনেক রয়ে গেছে, কাজেই শুয়ে থাক।
এরপর সেই ব্যক্তি যদি জেগে উঠে এবং আল্লাহকে স্মরণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর যদি সে অজু করে, তবে দ্বিতীয় গিরাও খুলে যায়। আর যদি সে সালাত আদায় করে তবে সব কয়টি গিরাই খুলে যায়। আর খুশির সঙ্গে পবিত্র মনে তার সকাল হয়, অন্যথায় অপবিত্র মনে আলস্যের সাথে তার সকাল হয়। (বুখারি, ৩২৬৯)
শয়তানের প্রস্রাব
আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এমন এক লোকের বলা হল, যে সারা রাত এমনকি ভোর পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিল। তখন তিনি বলিলেন, সে এমন লোক যার উভয় কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে। (বুখারি, ৩২৭০)
ধর্মীয় আদেশের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিদদের মতেও সকালে ঘুম থেকে ওঠা সুস্থ থাকার জন্য জরুরি। ভোরের ফুরফুরে আবহাওয়া দেহ-মনকে সতেজ রাখে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.