জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওই ছাত্রের নাম মেহেদী হাসান ওরফে সৈকত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় সৈকতকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রীকে সৈকত প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সৈকতকে আটকের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
আরও পড়ুন>> বাড়ছে নেটফ্লিক্সের সাবস্ক্রিপশন ফি
ওই ছাত্রী জানান, সৈকত গত এক বছর ধরে তাকে অনলাইনে নিয়মিত বিরক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি তিনি ক্যাম্পাসের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরও জানিয়েছেন। এ নিয়ে তারা সৈকতকে একাধিকবার সতর্কও করেছেন। সবশেষ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের জন্য ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তাকে প্রকাশ্যে যৌন হয়রানি করেন সৈকত। শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেন। এমনকি তাকে উদ্দেশ্য করে সৈকত নানা আপত্তিকর কথাও বলেন। ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টির প্রতিবাদ জানানোর পর তিনি প্রক্টর কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আমার কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দিলে আমরা সৈকতকে আটক করে পুলিশে দেই। ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর এ বিষয়ে করা মামলার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
সার্বিক বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল (বৃহস্পতিবার) পুলিশকে খবর দেয়। পরে সৈকতকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী গতকাল রাতেই সৈকতের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সৈকতকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হবে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত অনুযায়ী বিষয়টিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.