আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হলে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে চীন ও ভারতের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নির্ভরশীলতা আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ।
গত বুধবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে চলতি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সম্ভাব্য নানা সংঘাত ও সংকটের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নির্বাচন ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র ও জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতা, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে নানা সংকটের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> গাজায় পাঠানো ত্রাণসহায়তা যেন ‘মহাসমুদ্রের মাঝে এক ফোঁটা পানি’
প্রতিবেদনে দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকারের প্রতি বিএনপিসহ বিরোধীরা যে আহ্বান জানাচ্ছে, তা প্রত্যাখ্যান করতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যেতে পারে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে আরও বলছে, এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী মতের সমর্থকেরা সংঘাতে জড়াতে পারে। বিভিন্ন দলের কার্যালয় ও নির্বাচনী প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো।
প্রতিবেদনে দেয়া পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন বর্জন করতে পারে বিরোধী দল এবং তারা আরও সহিংস ও উগ্র হয়ে উঠতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ না হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো নানা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নির্ভরশীলতা আরও বাড়তে পারে।
এ ছাড়া অস্থিরতার কারণে দাতারা সহায়তা কমিয়ে দিলে রোহিঙ্গা শিবিরে খাদ্য ও কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিতে পারে। অনুদানে ঘাটতি দেখা দিলে জাতিসংঘ বাধ্য হয়ে সেবা কমিয়ে দিতে পারে। এতে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন অপরাধ চক্র ও সশস্ত্র গোষ্ঠীতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.