জাতীয় সংসদে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল ২০২৩’ পাস হয়েছে। তবে সেখানে আনসারকে অপরাধী আটক ও তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সংসদ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি উত্থাপন করেন। পরে সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীন কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সংঘটিত অপরাধের বিচার করার জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত গঠন করা যাবে এবং বিদ্রোহের মতো অপরাধের বিচার করার জন্য বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালত গঠন করা যাবে। এ বিশেষ আনসার ব্যাটালিয়ন আদালতে বিদ্রোহের মতো অপরাধসমূহের জন্য মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড আরোপ করা যাবে।
আরও পড়ুন>> সাংবাদিকদের জন্য শেখ হাসিনার সহায়তা নজিরবিহীন: তথ্যমন্ত্রী
বিলে আরও বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য ৯০ দিনের অধিক কারাদণ্ডে দন্ডিত হলে তিনি সয়ংক্রিয়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন। বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ১৯৯৫ সালে ব্যাটালিয়ন আনসার আইন (১৯৯৫ সালের ৪ নম্বর আইন) প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান ব্যাটালিয়ন আনসার আইন, ১৯৯৫ এ বিদ্রোহ ও তদ্সংশ্লিষ্ট গুরুতর অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান নেই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জননিরাপত্তা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তাকরণসহ এতদ্সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সম্পাদনে আনসার ব্যাটালিয়নকে আরও দক্ষ করার আবশ্যকতা রয়েছে।
২৩ অক্টোবর আনসার ব্যাটালিয়ন বিল- ২০২৩ সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছিল, ‘কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে অবিলম্বে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবে এবং ক্ষেত্রমতো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি, কোনো স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে। ’
আনসারের এ ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাবে পুলিশের আপত্তি ছিল। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিলটির এ সংক্রান্ত ধারা সংশোধনের সুপারিশ করে।
সে অনুযায়ী আনসারের এ ক্ষমতা বাদ দিয়ে বিলটি পাসের প্রস্তাব করা হয়। পাস হওয়া বিলে ব্যাটালিয়ন সদস্যদের এখতিয়ার ও ক্ষমতা সম্পর্কিত এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্য তার সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.