দুবাইয়ে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে (কপ–২৮) ইনোভেশন ইন ডেভেলপিং ফিন্যান্স শাখায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ।
লোকাল লিড অ্যাডাপটেশন (এলএলএ) ক্যাটাগরিতে এ চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়ন করা স্থানীয় সরকার ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) প্রকল্প।
আরও পড়ুন>> স্বাস্থ্য সেক্টরের যন্ত্রপাতিও জলবায়ু বান্ধব হওয়া উচিত: জাহিদ মালেক
প্রকল্পটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), সুইডেন, ডেনমার্ক, জাতিসংঘের মূলধন উন্নয়ন তহবিল (ইউএনসিডিএফ) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন ও সহনশীলতা বিনির্মাণে বাংলাদেশের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার দেয়া হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সৃজনশীল, প্রশংসনীয় ও সম্প্রসারণযোগ্য প্রকল্পকে উৎসাহিত করার জন্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও সাধারণ মানুষকে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালে এ পুরস্কার চালু করা হয়।
অর্থায়ন বাড়াতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ৯টি প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এ প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য চার লাখের বেশি পরিবারকে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে।
প্রকল্পের সুবিধাভোগী মানুষেরা এখন জলবায়ু-সহনশীল জীবিকায় বিনিয়োগ করতে পারেন। বৈচিত্র্যময় আয়ের উৎস বেছে নিতে পারেন। সেই সঙ্গে অভিযোজনের চর্চা বাড়ানোর জন্য বাজার এবং বিনিয়োগে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.