ভোটের সময় যত ঘনিয়ে আসছে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি বেড়েই চলছে। প্রচারণার সময় প্রকাশ্যেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে নৌকার সমর্থকদের। ভোটারদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমিক দিচ্ছে তারা। আর এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাধারণ ভোটাররা।
গত ৪ নভেম্বর পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ও বকুলবাড়িয়া, ৫ নভেম্বর ডাকুয়া ও চরবিশ্বাস এবং ৬ নভেম্বর চরকাজল ইউনিয়নে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ’চরকাজলের’ বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা গত ১ নভেম্বর একটি মানববন্ধন করেছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার ও প্রার্থীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে গলাচিপা উপজেলার ৮টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে গলাচিপায় বিএনপি দলীয় কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। অপর দিকে আওয়ামী লীগ ৮টিতেই দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ৬টিতেই দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। এদেরকে যদিও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার গলাচিপার চরকাজল, চরবিশ্বাস, গলাচিপা সদর, পানপট্টি, ডাকুয়া, কলাগাছিয়া, বকুলবাড়িয়া ও গজালিয়ায় দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শুধু গলাচিপা সদর ও গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।
নির্বাচনী মাঠে ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শক্ত অবস্থানে থাকলেও সে অবস্থানকে দুর্বল করে দিয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থীরা। আর এতে ৮টির প্রায় ৬টিতেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে করে অস্বস্তিতে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
গলাচিপার, চরকাজল ইউনিয়ন বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়। দ্বিতীয়বারের মতো আবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান রুবেল মোল্লা। অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী চরকাজল সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন গাজী এবং চরকাজল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মোল্লা। কিন্তু এবার এ দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বিজয় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
ইবাংলা/টিআর/৮ নভেম্বর/২০২১