মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরের প্রথম দিনেই এলিসি প্রাসাদে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষরিত হতে পারে।
এ বৈঠক দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আগামী দিনগুলোতে নিয়ে আসতে পারে নতুন দিকনির্দেশনা। ব্রেক্সিট পরবর্তী ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চতর পর্যায়ে নিতে আগ্রহী ঢাকা। বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু ইস্যু, কানেক্টিভিটি; ঢাকা-প্যারিস সরাসরি ফ্লাইট, ও রোহিঙ্গা ইস্যু থাকবে মূল ফোকাসে।
গত ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর প্যারিস সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চায় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরে ফ্রান্সের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষরিত হতে পারে।
ড. মোমেন আরও বলেছিলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে আমরা বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছি। ফ্রান্সের সঙ্গে এখনও আমাদের সরাসরি ফ্লাইট নেই, এটা নিয়ে আমরা আলাপ করব। এছাড়াও একাধিক ইস্যু আলোচনা হবে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ সফরে বেশ কিছু চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ইউনেসকো সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী ইউনেসকো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্সের সফরের গুরুত্ব তুলে ধরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছিলেন, প্যারিসের এনগেজমেন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি স্থানে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
আগামী বুধবার (১০ নভেম্বর) ফরাসি পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ সিনেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ফ্রান্স সফরের সময় দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেডেফের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে। এর পাশাপাশি এয়ারবাস ও থ্যালাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) ইউনেস্কোর ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে অংশগ্রহণের জন্য ইউনেসকোর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বজনীন আদর্শ তুলে ধরবেন।
ইবাংলা/ টিপি/ ৯ নভেম্বর, ২০২১