দালালরাই খুলে বসেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার

আমিনুল ইসলাম, ঢাকা

হাসপাতাল খুলছে সরকারি দালালরাই। এদের সাথে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে জরিত মূল হোতা অসাধু ডাক্তাররা। গরীবদের বাধ্য করা হয় সেখানে যেতে। লোক দেখানো নমুনা সংগ্রহ করা হলেও নেই পরীক্ষার প্রয়োজনীয় মেশিন। মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে রোগীর সঙ্গে করছে প্রতারণা। দেশব্যপী একই চিত্র চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগির পকেটের টাকা হাতিয়ে নেয়াই যেনো মূল টার্গেট।

Islami Bank

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের খানপুরে ৩০০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল ঘিরে সংঘবদ্ধ দালালদের আনাগোনা। রোগী আসতেই ভোগান্তির ভয় দেখিয়ে নেওয়া হয় বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে। একই চিত্র রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপালের।সেখানে প্রবেশ মুখে ভবনের চতুর্থ ও ৭তম তলায় দুটি ক্লিনিক করা হয়েছে।মেডিলাইফ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভার হেলথ হাসপাতাল ।

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে সরকারি হাসপাতালটির ২০০ গজের মধ্যে অন্তত এক ডজন ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। দালালরাই খুলে বসেছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান। দখল ঠেকাতে নিজেদের জায়গা ঘিরে রাখতে হয়েছে রাজউককে। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেড়া ভেঙেই চলছে ইমন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। নেই টেকনোলজিস্ট, নমুনা সংগ্রহ করে কলেজ শিক্ষার্থী। পরীক্ষার যন্ত্র না থাকলেও ঠিকই রিপোর্ট দেওয়া হয়।

one pherma

মেশিনের কার্যকারিতা নিয়ে আছে প্রশ্ন, নেই টেকনোলজিস্ট কিংবা প্যাথলজিস্ট। মেডিএইড হাসপাতালেরও একই হাল। এই হাসপাতালের মালিকও স্বীকার করেন বেসরকারি ক্লিনিকে অনিয়মের কথা।মেডিএইড হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক বলেন, ‘এই চারপাশের গোলচত্বরে যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেকের প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া আছে এই হাসপাতালে।

এমন লোক আছে আগে দালাল ছিল, এখন ডায়াগনস্টিক দিয়ে বসে আছে। কোনো মেশিন নেই, সে পরীক্ষা করে কী দিয়ে? কিছুই করে না, ব্লাডটা নিয়ে ফেলে দেয় আর কম্পিউটার থেকে গৎবাঁধা রিপোর্ট দেয়।  হাসপাতালে আধুনিক মেশিন আর অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও দালালদের খপ্পরে পড়ে রোগীরা মানহীন ও অবৈধ ক্লিনিকে যেয়ে প্রতারিত হচ্ছে।

ইবাংলা/আমিনুল/নাঈম/০৯নভেম্বর, ২০২১

Contact Us